৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,রাত ১০:০১

আসামের ২৮ জেলা থেকে বিশেষ আইন প্রত্যাহার

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বিতর্কিত আইন আফসপা (আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট)। দীর্ঘদিন ধরে এ আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর মানুষ। এই আইনে ঘটনাস্থলে একক সিদ্ধান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো কর্মকর্তার গুলি চালানোর অনুমোদন ছিল। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

খবরে বলা হয়, চলতি সপ্তাহ থেকে আসামের ৩৫টির মধ্যে ২৮ জেলা থেকে আফসপা তুলে নেওয়া হয়েছে।

তবে সাত জেলায় গত এপ্রিলে আইনটি নতুন করে পুনর্বহাল করা হয়। জেলাগুলো হলো—তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, চাড়াইদেও, শিবসাগর, জোরহাট, গোলাঘাট ও কার্বি আংলঙের ডিমা হাসাও। এসব এলাকায় নিষিদ্ধ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম) কিছু অস্তিত্ব এখনো রয়েছে।

সম্প্রতি আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, এখন থেকে সশস্ত্র সেনাবাহিনী এই এলাকায় যে কোনো কার্যকলাপ করতে পারবে না। তার বদলে আসাম পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ২০২৩ সাল শেষ হওয়ার আগে অর্থাৎ নভেম্বরের মধ্যেই গোটা আসাম থেকে এই আইনটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

আসাম পুলিশের মহাপরিচালক জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং বলেন, হিমন্ত বিশ্বশর্মা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর পুলিশ বিভাগে স্বচ্ছতা এসেছে। দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ঘাটতি এখন আসাম পুলিশে আর নেই। সে কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তাই আইনটি অধিকাংশ জেলা থেকে প্রত্যাহার করা হলো।

১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর তাদের তৈরি এই আইনটি ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে বলবৎ করা হয়। তখন থেকে এই আইনটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ১৯৯০ সালে এই আইন আসামের কিছু জেলায় বলবৎ করা হয়। তারপর থেকে প্রতি ৬ মাস অন্তর রাজ্যে এই আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

আফসপা আইনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে পুলিশ বাহিনীর চেয়ে বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়। ফলে তারা সন্দেহজনক যে কোনো ব্যক্তিকে আটক ও জেরা করতে পারে। এর জন্য কোনো ওয়ারেন্টের প্রয়োজন নেই। এ ছাড়া উগ্রপন্থি সন্দেহে গুলি চালোনার ক্ষেত্রেও পুলিশের তুলনায় সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে কড়াকড়ি কম।

  • শেয়ার করুন