প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৩
আওয়ামী লীগের হাতে গণতন্ত্র বারবার নিহত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেটা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া পুনরুদ্ধার করেছেন বলেও জানান তিনি।
আজ রোববার বিকেলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর মতিঝিলে হোটেল পূর্বাণীর হলরুমে ‘কর্তৃত্ববাদের উত্থান ও বিপন্ন গণতন্ত্র’ পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ।
সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যাপক মো. এমতাজ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক এম সলিমুল্লাহ খান, ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুল আলম, অধ্যাপক ড. কামরুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামসহ অনেকে।
ফখরুল বলেন, আমরা একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই রাষ্ট্র লাভ করেছি। সেই রাষ্ট্রের অস্তিত্ব, রাজনৈতিক অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। সংকটটা ওই জায়গায়। বিপন্ন হওয়ার কারণ হচ্ছে ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় যে কমিটমেন্ট, যে প্রতিশ্রুতি আমরা জনগণের সামনে দিয়েছিলাম। তৎকালীন যারা নেতৃত্বে ছিলেন, তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আজকের এই ৫২ বছর সমস্ত কমিটমেন্টগুলো তারা নস্যাৎ করে দিয়ে একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা দ্বিতীয়বারের মতো ছদ্মবেশে নিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগ। এদের হাতে গণতন্ত্র বারবার নিহত হয়েছে। সেটা পুনরুদ্ধার করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যেটা আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেনি। দেশে কোনো আইনের শাসন নেই। পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের বিনা ওয়ারেন্টে, বিনা মামলায় তুলে নিয়ে গিয়ে একই কায়দায় নাশকতা, বিস্ফোরণ এসব মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখায়। মামলায় ১০০ জনের নাম দেয় ওই এলাকায় যারা বিএনপি নেতাকর্মী। বাকি দেয় এক হাজার অজ্ঞাত নাম। পঞ্চগড়ে দিয়েছে ১৬ হাজার অজ্ঞাতনামা। এতে দুটি কাজ হয়, ওই মানুষগুলো ঘরছাড়া হয়ে যায়। বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যায়। আরেকটি হলো বিরাট বাণিজ্য শুরু হয়ে যায়। যারা ভুক্তভোগী তারাই এটা জানেন।