প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কোনো উদ্বেগের কথা জানায়নি বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১০ জুলাই) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগের কথা জানিয়েছে কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো উদ্বেগের কথা তারা বলেননি। তারা ভালোটা আশা করছেন। কোনো খারাপ কিছু নিয়ে কোনো কথা বলেননি। বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হোক, এটাই তারা চেয়েছেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী ও পরিপক্বতা অর্জন করুক, এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ইইউকে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে, যাতে সবার কাছে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হয়। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সংবিধান মেনে সেভাবেই নির্বাচন হবে দেশে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পর্যবেক্ষক আসবেন, কূটনীতিকরা আসবেন। তারা নির্বাচন মনিটরিং করবেন। তারা সরেজমিনে দেখতে পাবেন কীভাবে নির্বাচন হচ্ছে। ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এক্ষেত্রে আমাদের কোনো বাধা নেই।’ তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, এটি চায় তারা।
এর আগে সকাল ১০টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আসাদ আলম সিয়ামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ৬ সদস্যের নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল।
গত শনিবার (৮ জুলাই) ২ সপ্তাহের সফরে ঢাকায় আসে ইইউ ছয় সদস্যের নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল। আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার তাগিদ দিতে বিভিন্ন দেশকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বরাবর একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ইইউ। এ ব্যাপারে ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে বলে সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, ইইউর গণতন্ত্র ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা হিল্লেরি রিকার্ডো ছয় সদস্যের অনুসন্ধানী মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সফরের দ্বিতীয় দিনে গতকাল রোববার (৯ জুলাই) বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ এবং নির্বাচনপূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য মিশনটি তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে।
রোববার তারা দিনভর ২৭ সদস্যের ইউরোপীয় জোটের ঢাকার আট দেশের দূতাবাসসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনীতিক এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন। ইইউর ঢাকা অফিস ও ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলির বাসভবনে বৈঠকগুলো হয়। তবে এ ব্যাপারে ইইউ কোনো তথ্য সরবরাহ করবে না বলে জানিয়েছে।