জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থার (ইউনিসেফ) দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক জর্জ লারিয়া আদজেই। তিনি বলেন, ‘তীব্র এই অর্থনৈতিক সংকটের পরিণাম ভোগ করতে হচ্ছে দরিদ্র পরিবারগুলোকে। তারা রান্নার জন্য দরকারি মৌলিক জিনিসগুলোও কিনতে পারছে না। প্রতি বেলার খাবার জোগাড় করা তাদের জন্য অসাধ্য হয়ে পড়েছে।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জর্জ লারিয়া আদজেই বলেন, শিশুরা ক্ষুধার্ত অবস্থায় বিছানায় যাচ্ছে। তাদের পরবর্তী বেলার খাবার কোথা থেকে আসবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।
জাতিসংঘ বলছে, শ্রীলঙ্কার অর্ধেক শিশুর ইতোমধ্যেই জরুরিভিত্তিতে আড়াই কোটি ডলারের সহায়তা দরকার হয়ে পড়েছে। দেশটির প্রতিবেশী দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতেও পুষ্টিজনিত সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন লারিয়া আদজেই। তার ভাষায়, ‘দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে তীব্র অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মূল্যস্ফীতি শিশুদের জীবনকে আরও হুমকির মধ্যে ফেলে দেবে। এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর জন্য শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি একটি সতর্কবার্তা।’