প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩
প্রতিবছর রমজান মাসে ঘটা করে ইফতার আয়োজন সংস্কৃতির অংশ হয়ে যাওয়ার ছেদ পরে করোনা মহামারিতে। এ সময় সঙ্গনিরোধকল্পে সাবধানতাস্বরূপ রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনগুলো ইফতার আয়োজন থেকে সরে আসে। করোনা মহামারির সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগও ইফতার আয়োজন করেনি। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কৃচ্ছ্রসাধনের জন্য এবারও রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, কূটনীতিকসহ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে গণভবনেও আনুষ্ঠানিক ইফতার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে গণভবনে এবার আনুষ্ঠানিক কোনো ইফতার আয়োজন রাখেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার।
গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী যে সাশ্রয়ী নীতি অবলম্বন করেছেন, ব্যক্তিগত জীবনে সেটারই অংশ হিসেবে তিনি এবার কোনো ধরনের ইফতারের আয়োজন করবেন না। ইফতারে সংযম এবং ব্যয় সংকোচন করবেন। কৃচ্ছ্রসাধনের অংশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক আয়োজন না রাখার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ইফতারও সাদামাটা হবে।
গত বছর করোনার প্রকোপ কমে এলে কয়েকটি ইফতারের আয়োজন করা হলেও এবার নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের আরও বেশি ইফতার আয়োজন হতে পারে–এমন প্রত্যাশা ছিল অনেকেরই। তবে এবার তা হচ্ছে না। কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে কোনো ইফতার আয়োজন রাখছেন না। একইভাবে ক্ষমতাসীন দলের আয়োজনেও আনুষ্ঠানিক কোনো ইফতার অনুষ্ঠান এবারও হবে না বলে সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান কালবেলাকে বলেন, ইফতার আয়োজনের বিষয়ে এ বছর এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে হবে না–এরকম কোনো সিদ্ধান্তও এখনো হয়নি।