নারী নির্যাতন নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রকল্প, আইন ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। ২০২০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধন আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করায় দ্রুত অপরাধী শনাক্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যাচ্ছে। ফলে নির্যাতন ও সহিংসতা কমেছে। পূর্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ছিল ৪৫টি। সরকার ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০৬টি করেছে।

আজ বুধবার ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৪টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ৪৭টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৬৭টি ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল স্থাপন করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি এবং ৭টি বিভাগ ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভাগীয় ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের জন্য মনোসামাজিক কাউন্সিলিং প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকায় ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সিলিং সেন্টার এবং ৮টি রিজিওনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল হট লাইন ১০৯ থেকে ২৪ ঘণ্টা বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হয়।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরিকে দ্রুতই পূর্ণাঙ্গ ডিএনএ ল্যাবরেটরি করা হবে বলে ঘোষণা দেন।

জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরির কার্যক্রম জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হলে মানুষ সেবা সম্পর্কে জানতে পারবে। দ্রুত মামলার কার্যক্রম সম্পন্ন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যাবে।

মতবিনিময় সভায় মন্ত্রণালয়ের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব রওশন আরা বেগম, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আক্তার, জেলা প্রশাসক মো. আকমরুল আহসান তালুকদার, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. রজত সাহা, হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুহা. এনামুল হক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. আব্দুল্লাহ বিন কালাম উপস্থিত ছিলেন।