৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,দুপুর ১:৩৯

সৌভাগ্য যে ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান বিদেশে থাকায়: এমপি নাবিল

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২২

  • শেয়ার করুন

পল্লীর আভাস:

যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা স্তব্ধ দেওয়া করা হয়। এরপর বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করার পাঁয়তারা আবার শুরু হয়ে যায়। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত একের পর এক সামরিক জান্তা—জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তানে পরিণত করে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকীতে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে যশোর শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়া আমতলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম তোফায়েল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ তার নির্দেশে হয়। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু যখন পুনর্গঠন করছেন, তখন আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ও একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা যারা কোনও সময় বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি, তারা একত্রিত হয়ে কী করে দেশের অগ্রযাত্রা স্তব্ধ করে দেওয়া যায় সেই চিন্তা করে। বঙ্গবন্ধুকে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করে তারা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা স্তব্ধ দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সৌভাগ্য যে ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান বিদেশে থাকায়। এরপর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পরে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশে আবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার প্রতিষ্ঠা করেন শেখ হাসিনা। ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক চক্রান্তে তিনি ক্ষমতা থেকে চলে যান। ২০০৯ থেকে বর্তমান পর্যন্ত ১৩ বছর ক্ষমতায় আছেন, তিনি মানুষের জন্য সবসময় কাজ করে যাচ্ছেন।’
কাজী নাবিল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। আগামী নির্বাচনে যশোরের ছয়টি আসনেই আমরা ইনশাআল্লাহ জয় পাবো। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব একমাত্র শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মুন্সি মহিউদ্দীন, কামাল হোসেন, পৌর কাউন্সিলর মোকছিমুল বারী অপু, যুবলীগ সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লাইজু জামান, মেহেদি হাসান মিন্টু, মঈন উদ্দীন মিঠু, সৈয়দ মেহেদি হাসান, সেলিম আহমেদ ও রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

  • শেয়ার করুন