প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য একটি ক্যাশলেস সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। এরই অংশ হিসেবে আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে দেশের সব মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা হবে এবং তারা সবাই ‘ক্যাশলেস ট্রানজেকশন’ করবে।
গতকাল রোববার রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু হোটেলে ইন্টারঅপারেবল লেনদেন প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘ডিজিটাল সেবার অন্যতম ধাপ ক্যাশলেস। আমাদের দেশের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ এখনো ক্যাশ লেনদেন করে। এখানে ঝুঁকি থাকে। সারাক্ষণ ক্যাশ হাতে রাখা যায় না। দুর্নীতি, সন্ত্রাসে লেনদেন চলে আসে যতক্ষণ ক্যাশ লেনদেন চলে। এ জন্য ক্যাশলেস সোসাইটি আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসতে পারলে আগামী টার্মের মধ্যেই একটি ক্যাশলেস সমাজ গড়বে বাংলাদেশ। এখনো দেশের ৫-৬ কোটি মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। আগামীতে সবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকবে এবং তারা ক্যাশলেস ট্রানজেকশন করবে। আমরা ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এ জন্য ৩ থেকে ৪ বছর সময় লাগবে।’
প্রসঙ্গত, আইসিটি ডিভিশন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ইনোভেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট একাডেমি (আইডিইএ) প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে ভেলওয়ার লিমিটেড, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ ও অরিয়ন ইনফর্মেটিকস লিমিটেড এ প্ল্যাটফর্মটি তৈরিতে সহায়তা করেছে। বিনিময় প্ল্যাটফর্মের দায়িত্ব সমন্বয় করবে ভেলওয়ার লিমিটেড।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে ইন্টারঅপারেবল ডিজিটাল লেনদেন প্ল্যাটফর্মের (আইডিপিটি) খরচ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, বিকাশ থেকে রকেটে টাকা পাঠাতে প্রতি হাজারে খরচ হবে ৫ টাকা। আর এমএফএস সেবা (বিকাশ, রকেট ইত্যাদি) থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে (প্রতি হাজারে) খরচ হবে ১০ টাকা। অন্যদিকে এমএফএস থেকে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের (পিএসপি) অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে খরচ হবে হাজারে ৫ টাকা।