৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,রাত ২:৩৫

এক দফার আন্দোলনের আগে মাঠ গরম রাখবে বিএনপি

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক দফা দাবিতে জুলাই থেকে আন্দোলনে নামতে চায় বিএনপি।

জুলাই মাসে ঢাকায় বড় সমাবেশ বা জমায়েত করে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে দলটি। ‘একদফা’র হলেও কর্মসূচির ভেতরে কয়েকটি দাবি থাকবে। তবে কী দাবি সন্নিবেশিত হবে, তা নিয়ে এখন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা যেমন চিন্তাভাবনা করছেন, তেমনি যুগপতের শরিকদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।

জানা গেছে, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহারের দাবি মিলিয়ে এ ‘একদফা’ হতে পারে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যুগপৎ আন্দোলনের ভিত্তি হিসেবে ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ চূড়ান্ত করেই একদফার আন্দোলনে যেতে চায় প্রধান শরিক বিএনপি। তার আগে আলোচনার মাধ্যমে এ ইস্যুতে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে সৃষ্ট মতানৈক্য দূর করতে চান নীতিনির্ধারকরা। তবে ঘোষণাপত্র নিয়ে শেষ পর্যন্ত ঐকমত্য না হলে দলটি তার নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম থেকেও একদফার আন্দোলন ঘোষণা করতে পারে। আর সেক্ষেত্রে দাবি আদায়ে মিত্ররা যার যার অবস্থান থেকে সেই আন্দোলন চালিয়ে যাবে। গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে একদফার আন্দোলন নিয়ে এমন আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা নিয়ে আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠেয় দলের নীতিনির্ধারকদের বৈঠকে আবারও আলোচনা হবে। এর আগে যুগপতের শরিকদেরও মতামত নেওয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ১০ দফার ভিত্তিতে গত ডিসেম্বর থেকে যুগপৎ আন্দোলনে আছি। এখন এ সরকারের বিদায়ের লক্ষ্যে একটি দফা ঠিক করা হচ্ছে। এক দফার সেই আন্দোলন কাঠামো নিয়ে যুগপতের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করি, ঐকমত্যের ভিত্তিতে শিগগির এক দফার ঘোষণা দেওয়া সম্ভব হবে। এর আগে গত মাসের শেষদিকে ঢাকার বাইরে বিএনপির এক জনসভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ বলেছিলেন, ‘রাজপথে ফয়সালা করার যে আন্দোলন, অতি শিগগির সেই আন্দোলনের ডাক পাবেন। সেই আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিন।’

  • শেয়ার করুন