৯ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,রাত ১১:২৬

কিছু লোকের বাধায় বঙ্গবাজারে ভালো মার্কেট তৈরি করতে পারিনি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছু মানুষের বাধার কারণে বঙ্গবাজারে পরিকল্পিত ভবন নির্মাণ করা যায়নি। তিনি বলেন, বঙ্গবাজারে ১৯৯৫ ও ২০১৮ সালেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালে অগ্নিকাণ্ডের পর পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবাজার ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু হাইকোর্টে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্মাণের প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। ভবনটি নির্মাণ হলে হয়তো এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটত না।

রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল গণভবনে পদ্মা সেতু নির্মাণে ঋণের দুটি কিস্তি পরিশোধের চেক গ্রহণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজানে ব্যবসায়ীদের কষ্ট ও কান্না সহ্য করা যায় না। আমি আগেই বলেছি, আমরা সাধ্যমতো সাহায্য করব। আমরা ব্যবসায়ীদের ক্ষতির মূল্যায়ন করব।অগ্নিনির্বাপক যানবাহনের ক্ষতিসাধনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবশ্যই শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা লাঠিসোটা নিয়ে ফায়ার ব্রিগেড সদর দপ্তরে প্রবেশ করে অগ্নিনির্বাপক যানবাহনের ক্ষতি করেছে তাদের চিহ্নিত করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিকাণ্ড শুরুর পরপরই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও দুপুরে একদল লোক লাঠিসোটা নিয়ে ফায়ার ব্রিগেড অফিসে হামলা চালায়। ভবিষ্যতে যাদের অগ্নিনির্বাপক যানবাহন, ফায়ারম্যান বা কোনো সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে হামলা করতে দেখা যাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো হামলা সহ্য করা হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে। তবে এই ভালো খবরের সঙ্গে বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের একটি দুঃসংবাদও জাতি পেয়েছে। বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে দোকান পুড়ে যাওয়া দেখাটা খুবই দুঃখজনক।

  • শেয়ার করুন