৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,সকাল ১১:১৮

কুড়িগ্রামে কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবনে নেমে এসেছে ভোগান্তি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২২

  • শেয়ার করুন

কুড়িগ্রামে কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবনে নেমে এসেছে ভোগান্তি। ঠাণ্ডার কারণে বেড়েছে রোগব্যাধি। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা আর হিমেল ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট বেড়েছে। ফলে কাজে বের হতে পারছে না অনেকেই।

সোমবার সকালে কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, শীত মোকাবিলায় দুর্গত মানুষের সহায়তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শীতে জেলার গরিব ও দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে প্রাপ্ত ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ চলমান রয়েছে। নতুন করে চাহিদা পাঠানো হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার কম্বল, শিশু পোশাক এবং প্রয়োজনীয় শুকনা খাবার।

বাস ড্রাইভার আব্দুল রহিম বলেন, মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে চারদিক। ফলে এসময় হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হয়। ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনা। সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। গন্তব্যে পৌঁছতে লাগছে অতিরিক্ত সময়।

কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে জেলার ট্রেন ও নৌ চলাচলে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে দেরি করে ছাড়ছে এসব যানবাহন। শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের শিশু ও বৃদ্ধরা। শীতের কারণে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা নদীর তীরবর্তী এলাকার আবুল হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন ধরে অত্যাধিক কুয়াশা পড়ছে। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়ায় কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। অর্থের অভাবে শীতবস্ত্রও কিনতে পারছি না।

নাজিরা গ্রামের কৃষক লাল মিয়া ও আব্দুস সালাম বলেন, শীত উপেক্ষা করে আলু ক্ষেতের পরিচর্যা, বীজতলা তৈরিসহ নানা ধরনের কৃষিকাজ করতে হচ্ছে। কাজ করতে গিয়ে হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যায়। সর্দি-কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুর রহমান সরদার জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে বয়স্ক ও শিশু রোগীদের সংখ্যা বেড়েছে। বেডের তুলনায় বর্তমানে দ্বিগুণ পরিমাণ রোগী সেবা নিচ্ছে। ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও শীতজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে তারা। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। জনবলের ঘাটতির পরও আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) তুহিন মিয়া জানান, সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

  • শেয়ার করুন