১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,রাত ১২:১০

গাজীপুরের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গাজীপুরে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী সেখানে পৌঁছান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন এবং বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে সাজানো হয়ে ব্রি। জানা গেছে, এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেশ কিছু দাবি করবেন কৃষিবিজ্ঞানীরা।

ব্রির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে বর্তমানে ৩০৮ জন বিজ্ঞানী কাজ করছেন। নানা অর্জনের পরও প্রতিষ্ঠানটির সামনের দিনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ১১১টি জাত উদ্ভাবিত হলেও সব মাঠ পর্যায়ে সঠিকভাবে পৌঁছায়নি। মাত্র ৮-১০টি জাতই আবাদ হচ্ছে মোট আবাদের ৬০ শতাংশ জমিতে। বীজ বিপণনে বেসরকারি খাতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়েও রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা। ফলে উদ্ভাবিত জাতগুলোর সম্প্রসারণ হচ্ছে না বলে জানান বিজ্ঞানীরা।

এ বিষয়ে ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, ভালো জাত উদ্ভাবনে ব্রি নেতৃত্ব দিলেও কৃষকের কাছে ভালো বীজ পৌঁছানোর একটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তারা নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় আরও বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি বিজ্ঞানীদের নানা দাবি পূরণ করলে প্রতিষ্ঠানটি খাদ্য নিরাপত্তায় আরও অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। ব্রির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী সমকালকে জানান, তাঁরা নানা ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যেসব সুবিধা পান, তারা তা পান না। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের পদোন্নতি আটকে আছে।

পদ খালি না হলে পদোন্নতি দেওয়া হয় না। ফলে পদোন্নতি না পেয়েই অবসরে যেতে হচ্ছে অনেককে। এ ছাড়া শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পিএইডি করলে তিনটি ইনক্রিমেন্ট পান। কিন্তু কৃষি বিজ্ঞানীদের ক্ষেত্রে পিএইচডির পর একটি ইনক্রিমেন্টও নেই। সরকারি কর্মকর্তারা গাড়ি ও বাড়ির জন্য স্বল্প সুদে ঋণ পেলেও কৃষি বিজ্ঞানীদের ক্ষেত্রে নেই সেই সুবিধা।

দীর্ঘদিনের দাবির পরও কৃষিবিজ্ঞানীদের চাকরির বয়স বাড়ানো হয়নি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের চাকরির বয়স সরকারি নিয়মেই। ৫৭ বছর বয়সে একজন বিজ্ঞানী অবসর নিলে অনেক সময় তার গবেষণা অসমাপ্ত থেকে যায়। তাই কৃষিবিজ্ঞানীদের বেলায় চাকরির বয়স ৬৭ করার দাবি তাঁদের।

একজন সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, তিনি ২০ বছর ধরে একই পদে আছেন। যোগ্যতা থাকার পরও যথাসময়ে পদোন্নতি ও নানা সুবিধা না পেয়ে তিনি হতাশ।

তিনি জানান, ব্রিতে বিজ্ঞানীদের ৩০৫টি পদ। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা থেকে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পর্যন্ত চারটি পদ আছে। পদ খালি না হলে এখানে পদোন্নতি পাওয়া যায় না। সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ব্রি থেকে ১৫২ বিজ্ঞানী চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। প্রতিবছর ৫০-৬০ জন অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।

২০২০ সাল থেকে ব্রি বিজ্ঞানীসহ সংশ্লিষ্টরা সরকারি পেনশন সুবিধাভুক্ত হয়েছেন। কিন্তু তার অনেক আগেই অবসরে যাওয়া প্রখ্যাত অনেক বিজ্ঞানী এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। জনপ্রিয় ব্রি ধান-২৮ ও ব্রি ধান-২৯ জাত দুটির উদ্ভাবনে জড়িত বিজ্ঞানী ড. প্রণব কুমার সাহা রায়, ড. তানভীর আহমেদ, ড. খাজা গুলজার হোসেন ও ড. কামরুন্নাহার অবসরে গেছেন পেনশন সুবিধা ছাড়াই।

  • শেয়ার করুন