৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,দুপুর ১:৪২

চুয়াডাঙ্গার গাছিদের মধ্যে শুরু হয়েছে খেজুর রস সংগ্রহের হিড়িক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২২

  • শেয়ার করুন

কড়া নাড়ছে শীত। এরই মধ্যে চুয়াডাঙ্গার গাছিদের মধ্যে শুরু হয়েছে খেজুর রস সংগ্রহের হিড়িক।

জেলার সবখানেই চলছে খেজুর রস সংগ্রহের কর্মযজ্ঞ। খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন গাছিরা। দিন দশেক পরেই মিলবে রস, গুড় ও পাটালি।

চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি মাঠের ক্ষেতের আইলে, রাস্তার পাশে, পুকুরপাড়ে অযত্নে-অবহেলায় বেড়ে ওঠা খেজুরের গাছ জেলার অর্থনীতিতে আশীর্বাদ। শীত মৌসুমে রস-গুড় উৎপাদন করে প্রায় ৫/৬ মাস স্বাচ্ছন্দ্যে জীবিকা নির্বাহ করে জেলার কয়েক হাজার পরিবার।

খেজুরের রস, গুড় ও পাটালি উৎপাদনে প্রসিদ্ধ জেলা চুয়াডাঙ্গা। এ জেলায় যে রস,গুড় ও পাটালি তৈরি হয়, তা নিয়ে শীত মৌসুমে রীতিমতো কাড়াকাড়ি শুরু হয়। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয় এ জেলার গুড়-পাটালি। দেশের বাইরেও এর বেশ কদর রয়েছে।

দেশের সবচেয়ে বড় খেজুরের গুড়ের হাট বসে চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এই হাটে বছরে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার গুড় বেচাকেনার ব্যবসা হয়।

জেলার দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের গাছি গণি মিয়া জানান, ১০০ খেজুর গাছ তুলেছেন এবার। এখান থেকে রস-গুড়, পাটালি বিক্রি করে ৫/৬ মাস সংসার চলে যাবে তার।

জীবননগর উপজেলার কালা গ্রামের গাছি মিনাজ আলী বলেন, ‘রস সংগ্রহে গাছে ভাঁড় (মাটির তৈরির পাত্র) বাঁধার আগে প্রতিদিন ভাঁড়গুলো ধুয়ে নিয়ে আগুন দিয়ে পোড়া দিই। এরপর গাছে ভাঁড় পাতি। সেই সঙ্গে খেজুরের পাতা দিয়ে ভাঁড় ঢেকে দিই। এভাবে প্রতিদিন রস সংগ্রহ করি। গুড়-পাটালি করার সময় কোনো কেমিক্যাল মেশানো হয় না।’

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, ‘ভোক্তারা যাতে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রস্তুত খেজুরের রস, গুড় পেতে পারেন, এ জন্য কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।’

জেলায় ২ লাখ ৫০ হাজার খেজুর গাছ রয়েছে। এসব গাছ থেকে চলতি বছর ২ হাজার ৫০০ টন গুড় উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

  • শেয়ার করুন