প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
বর্ষা মৌসুম বা সামান্য বৃষ্টি হলেই চরম দুর্ভোগে পড়েন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরবাসী। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদাপানিতে সয়লাব হয়ে যায় পৌর এলাকা। ভারি বর্ষণে অধিকাংশ এলাকায় তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। নিচু এলাকার ঘরবাড়িতেও উঠে যায় পানি।
স্থানীয়রা বলছেন, ড্রেনেজব্যবস্থা বা কাজ না করায় দুর্গন্ধযুক্ত নোংরা ও ময়লা-আবর্জনার পানি সড়কে উঠে যায়। অপরিকল্পিত ড্রেনেজব্যবস্থা ও স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়া এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
রায়পুর পৌরসভা প্রথম শ্রেণির হলেও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পৌরবাসী। বিশেষ করে জলাবদ্ধতা সমস্যা বর্তমানে পৌরবাসীর প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রায়পুর পৌরসভা ২০০৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি স্থাপিত হয়। আয়তন- ৭ দশমিক ২৫ বর্গ কিলোমিটার ও জনসংখ্যা ৫১ হাজার জন।
গত টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বর্ষণে পৌরসভার মীরগঞ্জ সড়কের সর্দার বাড়ি, ট্রাফিক মোড় থেকে হায়দরগঞ্জ সড়কের খাজুরতলা, নতুনবাজার থেকে মহিলা কলেজ, উপজেলা পরিষদ চত্বর, মা ও শিশু হাসপাতালের পেছনের বীর মুক্তিযোদ্ধা খোসরু সড়ক, মিজি সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। হাটবাজারগুলোও কাদাপানিতে সয়লাব হয়ে পড়েছে। পৌরসভা এলাকার ইউএনও অফিস, শহীদ মিনারের পাশের ইসলামি ফাউন্ডেশন অফিসসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি বিভিন্ন অফিস জলমগ্ন হয়।
শহরের খাজুরতলা এলাকার বাহার হোসেন মৃধা জানান, রায়পুর পৌরসভার ট্রাফিক মোড় থেকে হায়দরগঞ্জের খাজুরতলা সড়কের দুই পাশে যে যার মতো দোকানপাট নির্মাণ করায় সড়কে জলাবদ্ধতায় ভরাট হয়ে গেছে। পানির স্বাভাবিক গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় জলাবদ্ধতা বেড়েছে।
মহিলা কলেজ এলাকার আকতার হোসেন বলেন, বৃষ্টি শুরু হলেই আমাদের এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ঘরবাড়ি রাস্তাঘাটেও পানি জমে যায়। রান্নাবান্না করতে খুবই অসুবিধা হয়।
রায়পুর পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট জানান, পৌরসভা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
কিছু ড্রেনের সমস্যার কথা স্বীকার করে তিনি জানান, পৌরবাসীদের মধ্যেও কিছু মানুষ বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ড্রেনে ফেলছেন। প্রতিদিন আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ড্রেন পরিষ্কার করছেন। ড্রেনের ময়লা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হচ্ছে। আমরা পৌর কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি। অনেক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য প্রকল্পের বরাদ্দ পেলে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অঞ্জন দাশ যুগান্তরকে বলেন, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় কমপ্লেক্স চত্বর। দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে।