৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,সকাল ৮:৩৮

তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে তুরস্কে ১৬ হাজার ১৭০ জন এবং সিরিয়ায় ৩ হাজার ১৬২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুই দেশে কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। খবর আলজাজিরার।

আজ বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেফ এরদোয়ান বলেন, তুরস্কে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হাজার ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ভূমিকম্পে সিরিয়ায় ৩ হাজার ১৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ১ হাজার ২৬২ জন এবং বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ১ হাজার ৯০০ জন রয়েছে।

দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, বিশেষ করে সিরিয়ায়। অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া হাজার হাজার ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রচণ্ড ঠান্ডায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি আফটার শকের শঙ্কাও রয়েছে।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, মানবিক সংস্থাগুলোর সামনে এখন তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বাঁচিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ আসছে।

আজ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ইনসিডেন্ট রেসপন্স ম্যানেজার রবার্ট হলডেন বলেন, এখন হাজার হাজার মানুষ খোলা জায়গায়, খারাপ ও ভয়াবহ অবস্থায় বেঁচে আছে। যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিতসহ পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ নেই।

হলডেন বলেন, আমরা সেকেন্ডারি বিপর্যয়ের মুখে পড়ার প্রকৃত ঝুঁকিতে আছি। আমরা অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা যে গতিতে চালিয়েছি সেই একই গতিতে এগিয়ে না এলে, ভূমিকম্পে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে অধিক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার।

  • শেয়ার করুন