৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,রাত ৪:১১

তৃণমূল নেতাদের কথা শুনতে গণভবনে ধারাবাহিক বৈঠক করবেন,প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২২

  • শেয়ার করুন

অথচ পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি- জেলা নেতাদের মাধ্যমে সেগুলো দ্রুত জমা নিয়ে অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। যেসব জেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকবে, সেসব জেলায় আগে সফর ও জনসভা করবেন তিনি। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ও নারী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলাদা আলাদা বৈঠক করবেন।

 

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নিয়ে সমাবেশ করারও সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে দুজন সদস্য প্রশ্ন তুললে সরকারপ্রধান জানান, বিদ্রোহী প্রার্থীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইলে বিবেচনা করা হবে।

 

বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী আগামী চার ডিসেম্বরের মধ্যে সারাদেশের জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সম্মেলনের আয়োজন করতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, যেসব সংগঠন সম্মেলন করতে পারবে না, তাদের কমিটি ভেঙ্গে দিতে হবে।

 

মাঠের রাজনৈতিক প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপিকে দলের সাংগঠনিক শক্তি দেখাতে ধারাবাহিক বড় বড় কর্মসূচি আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভার এই বৈঠকে। সূত্র জানায়, দলের সম্মেলনকে সফল করার লক্ষ্যে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটিসহ বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগের কমিটি বহাল রাখা হয়েছে।

 

তবে যারা মারা গেছেন, তাদের জায়গায় নতুনদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বৈঠক সূত্র জানায়, সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সম্মেলনের তারিখসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অবহিত করবেন।

 

সূত্র জানায়, বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে, বিরোধী দলের আন্দোলনে সরকার কোন বাধা দেবে না। তবে অগ্নিসন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে এখন থেকে দলীয় কর্মসূচিতে ব্যাপক জনসমাগম ঘটানোর সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া পর্যায়ক্রমে বিভাগগুলোতেও জনসভা ও সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ।

  • শেয়ার করুন