প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর রাজনৈতিক সফরে ২৯ জানুয়ারি রাজশাহী যাবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন বিকেলে তিনি রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট চাইবেন। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সবধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
দলীয় সভাপতি ও সরকারপ্রধানকে বরণ করতে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পরিকল্পনা। প্রতিদিনই করা হচ্ছে প্রস্তুতি সভা। ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরা। সমাবেশে প্রায় ৭ লাখ লোকসমাগমের প্রত্যাশা করছে আওয়ামী লীগ।স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দলীয় প্রধানের আগমনী বার্তায় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। আশপাশের জেলাগুলোতেও বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের পর এটিই প্রথম কোনো নির্বাচনী সমাবেশ।
এর আগে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এ মাঠেই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা উপস্থিত জনতার কাছে আওয়ামী লীগের জন্য ভোট চেয়েছিলেন। ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর বাগমারায় ও ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চারঘাটে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন তিনি। এ ছাড়া ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর পবার হরিয়ানের বিশাল জনসভায় ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে রাজশাহীর সব নেতাকর্মী এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। সিটি করপোরেশন এলাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা হচ্ছে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, সমাবেশকে সফল করতে পুরো পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। মাদ্রাসা ময়দানে নেতাকর্মীর ঢল নামবে। আর এত মানুষ সামাল দেওয়া যাবে না। তাই মাদ্রাসা ময়দানের পাশে থাকা কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানেও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে প্রবেশমুখসহ রাজশাহী শহরজুড়ে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হবে। পুরো মহানগরীকে উৎসবের আমেজে সাজিয়ে দেওয়া হবে। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী মূলত ভোট চাইতেই আসছেন। এ ছাড়া আমাদের কিছু প্রত্যাশাও আছে। সেগুলো তাকে জানাব।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘জাতীয় সম্মেলনের পর নতুন সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম সভায় এ সমাবেশের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাংগঠনিক তৎপরতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ওই সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। তার আগমন ও সমাবেশকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।’