৯ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,রাত ৯:০৮

নতুন বছর বরণে মঙ্গল শোভাযাত্রা চলছে

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণে শুরু হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি বের হয়। শাহবাগ মোড় হয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে এটি শেষ হবে।

শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ছিল পুলিশের সোয়াত টিম, এরপর মোটরসাইকেলে র‍্যাবের একটি দল। তাদের পেছনে ছিল ডিএমপি পুলিশের একটি দল। এরপর ছিলেন সাদা পোশাকে পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা। এ ছাড়াও ড্রোন উড়িয়ে পুলিশ এবং ডিবির সদস্যরা শোভাযাত্রাস্থল ও আশপাশের জায়গা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখেন।

ইউনেস্কো কর্তৃক ‘মানবতার স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষিত মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের স্লোগান হচ্ছে ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’।

শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন।

এদিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় প্রদর্শনীর জন্য বিভিন্ন মুখোশ, পেঁচা, ঘোড়া, মূর্তি, ট্যাপা পুতুল, নকশি পাখি, বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হয়। পরে সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শুরু হয়।

এবারের শোভাযাত্রায় নতুন সংযোজন বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত বন্যপ্রাণী নীল গাই। এর মাধ্যমে প্রাণীটিকে প্রকৃতিকে ফিরে পাওয়ার আশার পাশাপাশি বিলুপ্তির হুমকির মুখে থাকা সব বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়।

আয়োজক কতৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার র‍্যালি প্রতিবছরের মতো চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয়ে শাহবাগ মোড় হয়ে ঘুরে টিএসসি হয়ে আবার চারুকলায় গিয়ে শেষ হবে।

তবে মাহে রমজানের পবিত্রতার কথা মাথায় রেখে বাঁশি, ভুভুজেলা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ঢোলের শব্দও সীমিত রাখা হয়েছে।

  • শেয়ার করুন