প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২২
রাশিয়ার ‘নিউক্লিয়ার স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স’ পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া চালিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলে পশ্চিমাদের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকার মধ্যে এই মহড়া চালাল দেশটি। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মস্কোর নিয়ন্ত্রণকক্ষে বসে পুরো মহড়া ভার্চুয়ালি পর্যবেক্ষণ করেছেন। খবর আলজাজিরার।
এ মহড়া মূলত শত্রুর পারমাণবিক হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া হবে, তারই অনুশীলন। ‘গ্রোম’ বা ‘থান্ডার’ নামে এই মহড়ায় ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা ছাড়াও স্ট্র্যাটেজিক বোম্বার এবং পারমাণবিক সাবমেরিন ব্যবহার করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা আইআরএ জানিয়েছে, মস্কো থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার উত্তরের প্লেসেৎস্ক কসমোড্রোম থেকে একটি ইয়ার্স আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়ার কামচাটকা প্রদেশের প্রত্যন্ত কুরা অঞ্চলে একটি সিনেভা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
রাশিয়ার একটি টিভিতে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করছেন দেখানো হয়েছে। ওই সময় পুতিনের দেওয়া বক্তব্যের একটি ফুটেজও টিভিতে সম্প্রচার করা হয়। ভাষণে পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘ডার্টি বোমা’ ব্যবহারের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন।
রাশিয়ার এই মহড়ার পর পশ্চিমা কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে রাশিয়া স্বল্পপাল্লার ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। কারণ ইউক্রেনের খেরসনে বড় ধরনের পরাজয়ের মুখে আছে রাশিয়া।