প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগদান শেষে কাতার থেকে দেশে ফিরেছেন। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট বিকেল সাড়ে ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করে বিমানটি।
গত মঙ্গলবার রাতে দোহায় বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুলে কাতার প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেসব দেশে কাজ করেন, সেসব দেশের আইন কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। আইন ভঙ্গ করে কেউ কোনো অপরাধে যুক্ত হলে বাংলাদেশ তাদের বাঁচাতে ন্যূনতম প্রচেষ্টাও চালাবে না। কেউ অপরাধে জড়ালে দায়দায়িত্ব নেব না, উদ্ধার করব না।
শেখ হাসিনা বলেন, একজন মানুষের জন্য দেশের অন্য মানুষগুলো কিন্তু কষ্ট পায়, তাদের বিপদ হয়। স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, বিদেশে অপরাধ করলে দায়দায়িত্ব সরকার নেবে না। উদ্ধার করার চেষ্টা করব না। কারণ, আমাদের এসব নিয়ে কথা শুনতে হয়, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
প্রবাসীদের বৈধ পথে টাকা পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টাকা বৈধ পথে পাঠান, কিন্তু হুন্ডির মাধ্যমে পাঠাবেন না। তাতে আপনারও লোকসান হবে, দেশেরও ক্ষতি হয়। অনেক সময় অনেকে টাকা মেরেও দেয়, সেটা আপনারা দেখবেন। সামান্য একটু বেশি পাওয়ার লোভে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তিনি বলেন, আপনারা রেমিট্যান্স পাঠান, আমরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক যেমন করে দিয়েছি, তেমনি সোনালী ব্যাংক আছে। মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রাইভেট ব্যাংক আছে, ইসলামী ব্যাংক আছে। আপনারা কিন্তু ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেন।
বৈধ পথে টাকা পাঠালে সরকারের প্রণোদনা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বৈধ পথে টাকা পাঠালে সেখানে আমরা বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছি। প্রায় আড়াই শতাংশ প্রণোদনা আমরা দিচ্ছি। বিদেশে যেখানে ব্যাংক নেই, সেখানে এজেন্ট ও মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থা করতে রাষ্ট্রদূতসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
দালালের মাধ্যমে বিদেশ না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এটা করার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা বিভিন্ন সুযোগ করে দিয়েছি।