৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,ভোর ৫:৪৩

ফাইনাল এবং টুর্নামেন্ট সেরা স্যাম কারান

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২

  • শেয়ার করুন

মেলবোর্নে টস জয়ের পরই যেন চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুটে মাথাটা গলিয়ে দিয়েছিলো ইংল্যান্ড। বাকি কাজটুকু সেরে দেন স্যাম কারান। তরুণ এই পেসারের হাতেই আর সবচেয়ে বেশি মার খেতে হলো পাকিস্তানি ব্যাটারদের। ৪ ওভার বল করে দিলেন মাত্র ১২ রান। উইকেটও নিলেন তিনটি। মোহাম্মদ রিজওয়ান, শান মাসুদ এবং মোহাম্মদ নওয়াজের মত ব্যাটারের উইকেট নিলেন তিনি।

 

শেষ দিকে রান তাড়া করতে গিয়ে বেন স্টোকসও অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। ৪৯ বলে করেছেন অপরাজিত ৫২ রান। স্টোকসের এই অসাধারণ ব্যাটিং সত্ত্বেও ফাইনালের জন্য সেরা হিসেবে স্যাম কারানকেই বেছে নিলেন বিচারকরা। কারণ, কারানের সাঁড়াসি বোলিংয়ের কারণেই ১৩৭ রানে থামতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তানিরা।

 

শুধু ম্যাচ সেরাই নন, পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ বোলিং করেছেন এই তরুণ ইংলিশ পেসার। বল হাতে টুর্নামেন্টজুড়ে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট। ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে এটা অনেক বড় একটি অবদান। যার ফলে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন তিনি।

 

টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর পর দুই ইংলিশ উদ্বোধনী বোলার বেন স্টোকস আর ক্রিস ওকস মিলেও ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারছিলেন না। ২৯ রানের ওপেনিং জুটিটা ভাঙার জন্য বাটলার দায়িত্ব দিয়েছিলেন স্যাম কারানকে। বোলিংয়ে এসেই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বোল্ড করে দিলেন তিনি।

 

পাকিস্তানের বিপর্যয়েরও শুরু তখন। বাবর আজম ২৮ বলে ৩২ রান করলেও দলের স্কোরকে বড় করার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। বরং ১২ বলে ৮ রান করে মোহাম্মদ হারিস আউট হয়ে গেলে বিপদ বাড়ে পাকিস্তানের। ইফতিখার আহমেদ দাঁড়াতেই পারেননি। ৬ বলে কোনো রানই করতে পারেননি তিনি।

 

শান মাসুদ কিছুটা লড়াই করেছিলেন। ২৮ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার ছিল তাতে। কিন্তু তাকে ইনিংস বড় করতে দেননি স্যাম কারান। তার করা বলটি আকাশে তুলে দেন শান মাসুদ। মিডউইকেটে লিভিংস্টোন ক্যাচটি ধরেন।

 

১৪ বলে ২০ রান করেন শাদাব খান। বাকিরা দাঁড়াতেই পারেননি। ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন। বেন স্টোকসরা যেভাবে উইকেটের গুনাগুন বিচার করে ব্যাটিং করে রান তুলেছিলেন, পাকিস্তান সেভাবে পারেনি। মোহাম্মদ নওয়াজকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন কারান। তার ক্যাচটিও ধরেন লিভিংস্টোন।

 

শেষ পর্যন্ত কারানের বোলিং স্পেল দাঁড়ায় ৪-০-১২-৩। এই বোলিংয়ের কারণেই মূলত ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেলেন এবং ভাগিয়ে নিলেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও।

  • শেয়ার করুন