প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২২
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের একটি টিউবের পূর্তকাজের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার সকালে টানেলস্থলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্তকাজের সমাপ্তি ঘোষণা করেন তিনি।
এর আগে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্তকাজের সমাপ্তি উপলক্ষে আজ শনিবার উদযাপন করা হবে। এরই মধ্যে টানেলের ৯৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।’
প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা জানান, টানেল হয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হবে আরও পরে। পূর্তকাজ সম্পন্ন হওয়া টানেলের দক্ষিণ টিউব দিয়ে আনোয়ারা থেকে চট্টগ্রাম শহরে এবং উত্তর টিউব দিয়ে চট্টগ্রামের নেভাল একাডেমির দিক থেকে আনোয়ারার দিকে যান চলাচল করবে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে টানেলের প্রতিটি টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার। প্রতিটি টিউবে দুটি করে চারটি লেন। মূল টানেলের সঙ্গে নদীর দুই প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযুক্ত সড়ক থাকবে। এ ছাড়া ৭২৭ মিটার দীর্ঘ একটি ফ্লাইওভার থাকবে আনোয়ারা অংশে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করার জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন। সেই অবকাঠামো উন্নয়নের চূড়ান্ত মাইলফলক কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। প্রধানমন্ত্রী ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছেন। সেখানে দেশীয় বিনিয়োগ আছে, বিদেশি বিনিয়োগও আছে।
তিনি বলেন, দেশীয় উৎপাদন বাংলাদেশে সর্বত্র ছড়িয়ে যাবে, ঠিক বিদেশেও ছড়িয়ে যাবে। সে জন্য দরকার হচ্ছে আমাদের রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও বন্দর। মাতারবাড়ীর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক আছে। এ টানেলের কারণে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে যাওয়ার ৪০ কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে। সময় বাঁচবে, যোগাযোগ দ্রুত হবে। যারা কাজ করে, তাদের সময় বাঁচা মানে খরচ কমে যাওয়া। এই টানেল বাংলাদেশের বিশাল অর্জন।