৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,দুপুর ২:১৭

বাংলাদেশের নির্বাচনে সহায়ক হবে নতুন ভিসা নীতি: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে পিটার হাস বলেন, আমাদের বৈঠক পূর্বনির্ধারিত, যা নিয়মিত বৈঠকের অংশ। আমাদের দুই দেশের চমৎকার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় সম্প্রতি ঘোষিত ভিসা নীতির প্রসঙ্গও এসেছে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি এবং আগের দিন আমাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) বিবৃতিতে যা দেখেছেন, তা বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী—সবার জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ীদের ভিসা না দেওয়ার যে নতুন নীতি যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, তাতে সরকার মোটেও ভীত নয়। আমেরিকার এই ভিসার রেস্ট্রিকশন শুধু সরকারি দলের ওপর নয়, অপজিশনের লোকজনের ওপরও বর্তাবে। এতে করে আমরা আশা করি, এবার তারা (বিএনপি) ইনশাআল্লাহ একটু সচেতন হবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির সময় ১ কোটি ২৩ লাখ ফেইক ভোটার তৈরি হয়েছে। যাতে ফেইক ভোট না হয়, সেজন্য ভোটারের ফটো আইডি করে দিয়েছি। কেউ কেউ অভিযোগ করে যে, রাতের অন্ধকারে নাকি ভোট হয়ে যায়। সেজন্য আমরা স্বচ্ছ ট্রান্সপারেন্ট ব্যালট বাক্স তৈরি করেছি। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের জন্য আমরা শক্তিশালী ইসি তৈরি করেছি।

ইলেকশনের সময় এটিকে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করার দায়িত্ব কিন্তু সে ইলেকশন কমিশনের, সরকার তাদের সাহায্য করবে।

মোমেন আরও বলেন, আমরা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন করতে চাই, এটিকেই তারা (যুক্তরাষ্ট্র) সমর্থন দিয়েছে। সুতরাং, নাথিং টু ওরি…। সেইসঙ্গে তারা এও বলেছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে একটা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের আগ্রহ, সেটিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য তারা এই নীতিটা করেছে।

  • শেয়ার করুন