প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২
আলু ভর্তা, ডাল ও ভাত খাওয়ার খরচ আরও বেড়ে গেল। চাল, ডাল, আলু প্রতিটিরই দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। সবচেয়ে কম খরচে এসব খাদ্যই খেয়ে থাকেন দেশের সাধারণ মানুষ।
একইভাবে সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের পাতে যেসব খাদ্যপণ্য থাকে, সেগুলোর আরও কয়েকটির দামও গত সপ্তাহে বেড়েছে। ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও শুকনো মরিচের দামও ঊর্ধ্বমুখী।
অন্যদিকে, শীতের সবজি বাজারে এলেও সেগুলোর দাম এখনো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। পাশাপাশি বাজারে লবণের সংকটের কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কোনো কোনো বাজারে এই পণ্যটির দামও গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রণ্যের দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি মাঝারি মানের চাল গতকাল বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৫৮ টাকা কেজি দরে। যা এক সপ্তাহ আগে ৫৬ টাকায় পাওয়া গেছে। একইভাবে খোলা আটার দামও কেজিতে ২ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৫৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
আলুর দাম বেড়েছে এক টাকা। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। গতকাল দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। দেশি রসুনের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আদার দাম বেড়েছে তুলনামূলক বেশি। প্রতি কেজি আদা ১২৫ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২৫ টাকা বেশি। অন্যদিকে, ভোজ্যতেল সরকার নির্ধারিত দরে পাওয়া যাচ্ছে না। সয়াবিন তেলের ৫ লিটারের বোতল গতকাল বিক্রি হয়েছে ৮৮০ টাকা পর্যন্ত। রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবির বাজারদরের প্রতিবেদনেও এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির তথ্য রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মৌসুম শেষ হওয়ার কারণে বাজারে পেঁয়াজ, রসুন, আলুর সরবরাহ কমেছে। আর ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আদা, ডাল আমদানি কম হচ্ছে। এতেও সরবরাহ কমেছে। সরবরাহ কমার কারণে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। আর শীতের আগে সয়াবিন তেলের দাম সব সময়ই বাড়ে। এবারও সেদিকে যাচ্ছে বাজার। আর লবণের সরবরাহ কম। লবণের কারখানায় গ্যাসের সরবরাহ কম থাকার কারণে পরিশোধন হচ্ছে কম। এজন্য বাজারে সরবরাহও কমেছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তি। বিশেষ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর থেকে বাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে বেশি। সম্প্রতি আবার লোডশেডিং হচ্ছে। গ্যাসের সরবরাহ কমে কারখানাগুলো নির্ধারিত চাপে গ্যাস পাচ্ছে না। এরকম পরিস্থিতিতে ধানকল, আটার মিল, চিনিকল, সয়াবিন তেল পরিশোধনকারী কারখানা, আলুর হিমাগার, লবণ মিল ঠিকমতো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। ফলে বাজারও ঠিকমতো কাজ করছে না।