৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,দুপুর ১:৩০

যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার পর ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন আলী

প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

যৌতুকের টাকা না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন মানিকগঞ্জের হযরত আলী বেপারী। এ ঘটনায় করা মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর থেকে নিজের নাম পরিবর্তন করে ছদ্মবেশে পালিয়ে ছিলেন তিনি। অবশেষে ৩ বছর পর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব-৪-এর সহকারী পরিচালক এএসপি মাজহারুল ইসলাম জানান, গত শনিবার রাতে সাভারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে মানিকগঞ্জ সদর থানার হযরত আলী বেপারী ও রোকসানা আক্তার প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই আলী ও তার পরিবার রোকসানাকে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে। দুই বছরেও টাকা না পেয়ে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর পরও শেষ রক্ষা হয়নি রোকসানার।

২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আলী ও অন্য আসামিরা রোকসানার বাবার বাড়িতে গিয়ে যৌতুকের টাকার জন্য উচ্চবাচ্য করে। এক পর্যায়ে আলী ও অন্য আসামিরা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করে। এরপর ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে বারান্দায় সিলিংয়ে ঝুলিয়ে রেখে চলে যায়।

মাজহারুল ইসলাম বলেন, চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা মানিকগঞ্জ সদর থানায় আলীসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত হযরত আলী বেপারীকে মৃত্যুদণ্ড ও বাকি আসামিদের অব্যাহতি দেন। রায়ের পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে আলী নাম পরিবর্তন করে সজীব আহম্মেদ নামে আত্মগোপনে ছিলেন।

  • শেয়ার করুন