৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,সকাল ৬:৫০

রাজশাহী মেডিক্যালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

রাজধানী ঢাকার পর রাজশাহীতেও উদ্বেগ ছড়াচ্ছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। প্রায় এক মাস থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ও তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বুধবার (৫ জুলাই) রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০ জন রোগী ভর্তি ছিল।

রামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত এক মাসে রামেক হাসপাতালে ২৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়। তবে ঈদের পর থেকে হাসপাতালে রোগী ভর্তি সংখ্যা বাড়তে থাকে। ঈদের পরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর বেশিরভাগই ঢাকা থেকে আসা। এ ছাড়া দুজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়।

রাজশাহী বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশাদুজ্জামান আশাদ বলেন, গত চার দিনে ছয়জনের ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে দুজনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।

তাদের একজনের নাম আবু সাঈদ (২৬)। তার বাড়ি বাঘার উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে। অপরজন হলেন- বাপ্পু রহমান (৩০)। তার বাড়ি ঢাকাচন্দ্রগাতি গ্রামে। এর মধ্যে বাপ্পু রহমান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও আবু সাঈদ বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আবু সাঈদ পাবনায় গিয়ে এবং বাপ্পু ঢাকার মুন্সীগঞ্জে গিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।

এ ছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত সবাই রাজশাহীর বাইরের জেলায় থাকেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে তারা জ্বরে আক্রান্ত হন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহম্মেদ বলেন, এক মাস আগে থেকেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছিল। ঈদের আগে ও পরে অনেকেই এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এজন্য আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ডও খোলা হয়েছে। হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডটি আপাতত ডেঙ্গু ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেখানে ১৮টি বেড রয়েছে। পরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা যদি বাড়ে তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, আক্রান্তরা বেশিরভাগই ঢাকার বা তাদের ঢাকা ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে। এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ২৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বর্তমানে ১০ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা খারাপ। তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

  • শেয়ার করুন