প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৩
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, সরকার যদি চায় যে, সংঘাত এড়িয়ে তারা সামনের দিকে যাবে তাহলে প্রথম কাজটা করতে হবে, বিরোধী দলগুলো যেটা চাচ্ছে সেই দাবি পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ পদত্যাগ করে আলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা সব অস্ত্র ব্যবহার করেছি। ২০১৮ সালে তাদের কথা বিশ্বাস করে নির্বাচনে গিয়েছিলাম। পরিণতি কী হয়েছে আপনারা দেখেছেন। এখন তো আমরা অনেক দিন ধরেই বলছি যে, আপনারা দয়া করে পদত্যাগ করেন। সম্মত হন যে, আমি পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে কথা বলব–তাহলেই হয়ে যায়। প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাদের বিশ্বাস করার প্রশ্নই উঠতে পারে না। আগে পদত্যাগ করতে হবে, তারপর সংলাপ এবং ঘোষণা দিতে হবে যে আমি পদত্যাগ করব। গতকাল শনিবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের
কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বর্তমান জাতীয় সংসদ ‘সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর সংসদ’ বলে মন্তব্য বিএনপি মহাসচিবের।
এদিকে গতকাল বিকেলে এক দোয়া ও ইফতার মাহফিলে মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ভিতু। যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তারা কাওয়ার্ড (কাপুরুষ) সরকার। এ জন্যই তারা জনগণকে ভয় পায়। তারা জনগণকে দাঁড়াতে দেয় না। কথা বলতে দেয় না। আজকে দেশকে কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছে এ সরকার। রাজধানীর লেডিস ক্লাবে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (অ্যাব) উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ কে এম আসাদুজ্জামান চুন্নুর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাবের মহাসচিব আলমগীর হাছিন আহমেদ, সিনিয়র সহসভাপতি প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. মোস্তাফা-ই-জামান সেলিম (সিআইপি), ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, সৈয়দ আবদাল আহমদ, আব্দুল হাই শিকদার, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক।
ইফতার মাহফিলে পেশাজীবীদের মধ্যে সাংবাদিক ইলিয়াস খান, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. মো. মেহেদী হাসান, ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, মো. জাকির হোসেন, ড. এমতাজ হোসেন, মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, আমিরুল ইসলাম কাগজী, অ্যাবের ড. সাব্বির মোস্তফা খান, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, মো. হানিফ, প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান চৌধুরী, আইয়ুব হোসেন মুকুল, আসিফ হোসেন রচি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।