৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,সকাল ৯:০০

অবশেষে ব্রয়লার মুরগির দাম কমল

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম কমছে। আজ সোমবার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ দাম গতকালও ছিল ২৩০ টাকা।

নিউমার্কেটের আরমান চিকেন হাউসের বিক্রিয় কর্মী জানান, তারা ২১০ টাকা কেজি দরে মুরগি বিক্রি করছেন। এই বাজারের অন্য দোকানেও এই দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া তেজগাঁও, ফকিরাপুল, শান্তিনগর, খিলগাঁও, রামপুরা এলাকা থেকে ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি বিক্রি করার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গতকাল ঢাকার বাইরে জেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২২০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি ব্রয়রার বিক্রির খবর পাওয়া যাচ্ছে।

তবে কী কারণে বাজারে দাম কমছে তার কারণ জানাতে পারেননি খুচরা দোকানিরা। এ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উৎপাদন পর্যায়ে দাম কমার কারণে খুচরা পর্যায়ে দাম কমতে শুরু করেছে।

তারা বলছেন, গতকাল রোববার রাতে পাইকারি বাজারে ১৬০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে। ঢাকার বাইরে পাইকারি বাজারে ১৫০ থেকে ১৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার খবর পাওয়া গেছে। ফলে সোমবার বাজারে দাম কমতে থাকে।

এদিকে এভাবে ব্রয়লার মুরগির দর পড়তে থাকায় লোকসানের মুখে পড়তে পারেন খামারিরা। দাম কমাকে করপোরেট পর্যায়ে নতুন চক্রান্ত উল্লেখ করে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ‘ব্রয়লারে লাভের মুখ দেখে খামারিরা বাচ্চা কিনতে শুরু করেছে, তখন করপোরেটরা বাচ্চার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। ৬৫ টাকার বাচ্চা এখন ৯০ টাকায় বিক্রি করছে। এরপরও যখন খামারিরা বাচ্চা কিনছে, তখন তারা বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের থেকে কম দামে ব্রয়লার বিক্রি শুরু করেছে। এতে নতুন করে বিনিয়োগে আসা খামারিরা লোকসানে পড়বে। প্রান্তিক খামারিদের ধ্বংস করার জন্যই এই চক্রান্ত।’

দাম কমার বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে- ঢাকার অনেক বাজারে হঠাৎ করে দাম কমতে শুরু করেছে। বড় কোম্পানি গতকাল ১৬০ টাকায় মুরগি বিক্রি করেছে। কাপতান বাজার ও অন্যান্য বাজারে পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে ১৯০ টাকায়ও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কি এমন হলো ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা নির্ধারণের তিন চার দিনে মাথায় হঠাৎ তারা ১৬০ টাকায় বিক্রি করছে। এর আগে দেন-দরবার করেও তাদের রাজি করানো যাচ্ছিল না। তাহলে কেন তারা ২৩০ টাকায় বিক্রি করেছিল। এসব বিষয় আমরা গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছি। তারা মাঠ ও উৎপাদন পর্যায়ে তথ্য নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।

  • শেয়ার করুন