৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,রাত ৮:৪২

আগুন বিএনপি-জামায়াত লাগাচ্ছে কি না তদন্তের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের পেছনে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটিয়ে তারা (বিএনপি-জামায়াত) ভিন্ন পথ বেছে নিচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। গতকাল শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় নগরীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি-জামায়াত চক্রের অগ্নিসন্ত্রাসের কথা ভুলে না যেতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের অগ্নিসন্ত্রাস অন্য কোনো উপায়ে আছে কি না বা তারা ভিন্ন উপায়ে তা ঘটিয়েছে কি না, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

বিএনপি-জামায়াত চক্রের অতীত অপকর্মের কথা মাথায় রেখে ঢাকাসহ সারা দেশের সব শহরে বসবাসকারী সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ষড়যন্ত্র, নাকি নাশকতা, তা খতিয়ে দেখতে হবে।

সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। প্রত্যেককে নিজ উদ্যোগে নিজের স্থাপনা পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের সব প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন প্রথম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, তখন ধারণা করা হয়েছিল যে এটি একটি দুর্ঘটনা হবে। কিন্তু প্রথমটির একই সময়ে আরও কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে সকাল ৬টার পরে। নজরদারি বাড়াতে হবে এবং অন্য মার্কেটগুলোকেও সতর্ক থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কেউ এই চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে নিয়ে একটু চিন্তা করলেই তার মনে এই প্রশ্ন আসবে যে—এগুলো কি সাধারণ দুর্ঘটনা, নাকি এসব ঘটনার পেছনে কোনো কারসাজি আছে?

তিনি আরও বলেন, আমরা জানি, কিছু রাজনৈতিক দল ঈদের পর আন্দোলন করতে, অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে এবং সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। হ্যাঁ, আপনি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারেন, তবে এই সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের কী দোষ?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কারণ, তারা তাদের ব্যবসার জন্য এই মৌসুমের অপেক্ষা করতেন। যারা এসব করেছে, তারা সহজে রেহাই পাবে না, আমরা এই বিষয়ে আমাদের নজরদারি বাড়িয়েছি।

অতীতে বিএনপি-জামায়াত চক্রের অগ্নিসন্ত্রাসের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আগে তারা সাধারণ মানুষকে পুড়িয়েছে, এখন তারা অর্থনীতিকে পঙ্গু করার পথ নিয়েছে কি না, আমাদের এই রহস্য বের করতে হবে।

সবাইকে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের কৌশল পরিবর্তনের বিষয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ৩ হাজার ৫০০টিরও বেশি যানবাহন, ২৯টি ট্রেন এবং ৮-৯টি লঞ্চ, ৫০০ স্কুল, ৭০টি সরকারি অফিস এবং ছয়টি ভূমি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা ৩ হাজারের বেশি লোক আহত ও ৫০০ জনকে হত্যা করেছে। আমাদের এটি নজরে রাখতে হবে।

দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর সময় বিনা প্রয়োজনে ভিড়ের অনুমতি দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি লক্ষণীয় যে, ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা যখন আসে তখন তারা কিছু লোকের বাধার সম্মুখীন হয়। কেন তারা বাধার সম্মুখীন হবে? সেই সময় আগুন নেভাতে গিয়ে কিছু লোক লাঠিসোটা নিয়ে দমকল কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এই লোকগুলো কারা? এ ব্যাপারে কেউ কোনো বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • শেয়ার করুন