৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,দুপুর ১:২১

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে প্রস্তুত ইসরায়েল

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

প্রথমবারের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছে ইরান। মাঝারি পাল্লার এই শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে ৫ গুণ দ্রুত ছুটতে পারে।

এ নিয়ে কথা বলতে মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। তিনি জানান, তাদের শত্রুরা সমরাস্ত্র ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করছে। তবে তেল আবিবও প্রতিপক্ষকে মোকাবিলায় প্রস্তুত। স্থল, নদী কিংবা আকাশ পথ যে দিক দিয়েই হামলা হোক, তা প্রতিরোধ ও পাল্টা হামলা করতে প্রস্তুতি রয়েছে নেতানিয়াহুর দেশের।

অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরপরই ইসরায়েলকে হুমকি দেয় ইরান। তেহরান জানায়, ঘনিষ্ঠ এই মার্কিন মিত্র যদি তাদের পরমাণু প্রকল্পে হামলা চালায়, তাহলে হাইপারসনিক মিসাইলের মাধ্যমে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। এমন হুমকিতে নড়চেড়ে বসে ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি।

এ বিষয়ে গ্যালান্ট বলেন, তারা যুদ্ধ চান না, তবে খামিনির দেশ যদি সংঘাতের সূচনা করে, তাহলে তাদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে- এলিট ক্লাস এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ইরানের আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ফোর্স। ফার্সি ভাষায় ফাতাহ্ (জয়ী) নামের ১৪০০ কিলোমিটার পাল্লার এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে সক্ষম বলে দাবি করেছে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম।

এ ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে উপসাগরীয় দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন, তাদের প্রতিরক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র গড়ে উঠেছে পুরোপুরি দেশীয় প্রযুক্তিতে। তেহরান যেহেতু অস্ত্র আমদানি করে না, তাই পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এসব কারখানার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।

এখন পর্যন্ত শুধু রাশিয়া, চীন, আমেরিকা এবং উত্তর কোরিয়া হাইপারসনিক মিসাইল প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে। আমেরিকা এখানো এ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করতে পারেনি।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ‘রেভ্যুলশনারি গার্ডস অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমিরা আলি হাজিজাদেহ বলেন, বিশ্বে ট্যাঙ্ক, যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমানসহ সব অস্ত্র ধ্বংসের জন্য পাল্টা ব্যবস্থা বা অস্ত্র রয়েছে। এমনকি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের জন্যও এখন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু ইরানের তৈরি এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারে, এমন অস্ত্র কারও এখনও কারও হাতে নেই।

সম্প্রতি নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মোড়ক উন্মোচন করার পর দেশের শেয়ার বাজারে চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে এবং লেনদেন বেড়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ইরানের শেয়ারবাজারে বৈদেশিক মুদ্রার দাম কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উদ্বোধনের ঘটনা শেয়ার বাজারের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়িয়ে তুলেছে।

  • শেয়ার করুন