৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,সকাল ১১:২২

বাড়ছে নদ-নদীর পানি, হাওরে বন্যার আশঙ্কা

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এ সময়ে সিলেট বিভাগে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর সুনামগঞ্জে ১৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

অব্যাহত বৃষ্টির কারণে সিলেট জেলায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় প্রশাসনকে প্রস্তুতি নিতে বলেছে জেলা প্রশাসন।

আবহাওয়া অফিস বলছে, গত দুদিন সুনামগঞ্জে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে উজান থেকে নামছে পাহাড়ি ঢল। এতে নদী ও হাওরে পানি বাড়ছে। গত বছরও এ সময়ে এমন আবহাওয়া ছিল। ফলে গতবারের মতো এবারও জনমনে ভয়াবহ বন্যার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

তবে নদী ও হাওরে পানি বাড়লেও বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, গত তিন মাস সুনামগঞ্জে তেমন বৃষ্টি হয়নি। তাই হাওর ফাঁকা। এখন বৃষ্টি হওয়ায় হাওরে পানি ঢুকছে। নদীতেও পানি বাড়ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও পদ্মার পানি বাড়ছে। অপর দিকে ভারতে গঙ্গা নদীর পানির স্তর স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উজানে ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। সে অনুযায়ী আশপাশের নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে এবং বিপৎসীমা অতিক্রম করে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে উজানে ও দেশের অভ্যন্তরে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি দ্রুত বাড়ছে।

আবহাওয়া সংস্থার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উজানে ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময়ে এই অঞ্চলের নদ-নদীগুলোর পানির স্তর দ্রুত বাড়তে পারে এবং বিপৎসীমা অতিক্রম করে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা ও ধরলা অববাহিকা এবং আশপাশের উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় এ নদীগুলোর পানি সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১৯৪, শিলচরে ১০৮, আইজলে ৬৫ ও শিলংয়ে ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

  • শেয়ার করুন