প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২
রাজধানীর সড়কগুলোতে সকাল থেকেই ছিল যানবাহনের চাপ। দুপুর গড়িয়ে বিকেলেও ছিল সেই চাপ। এর মধ্যে আবার মাথার ওপর সূর্যের চোখ রাঙানি। ফলে তীব্র গরমে যানজট আটকে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল ঢাকাবাসী।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীতে যানজট শুরু হয়। এর মধ্যে ‘সাফ চ্যাম্পিয়ন’ মেয়েদের সংবর্ধনায় দুপুরের দিকে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে মতিঝিল যাওয়ার সড়কগুলোতে ছিল যানবাহনের চাপ। ছাদখোলা বাসে চ্যাম্পিয়নদের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিজয় সরণি, তেজগাঁও, মৌচাক, কাকরাইল, আরামবাগ, মতিঝিল শাপলা চত্বরে গণপরিবহনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে।
এছাড়া যাত্রাবাড়ী, বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, সাতরাস্তা, মগবাজার, রমনা, মালিবাগ রামপুরা, বাড্ডা, বনানী, মহাখালী ও গুলশান এলাকায় যানবাহনের চাপ ছিল বেশি।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, মিরপুর-১৪ থেকে পল্টন যাচ্ছিলাম। কিন্তু বাংলামটর আসতেই দেড় ঘণ্টা সময় লেগেছে। যেখানে মাত্র ২০-২৫ মিনিট লাগার কথা। এরপর হাইকোর্ট পৌঁছে বাস থেকে নেমে হেঁটেই পল্টন যাই। তীব্র গরমের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসে বসে থাকা খুবই বিরক্তির।
ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, উন্নয়ন প্রকল্পের খোঁড়াখুঁড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যায় বেড়েছে যানজট। এছাড়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের কারণে তা আরও বেড়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ মহাখালী পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সালাহউদ্দিন বলেন, আজকে মহাখালী থেকে সাতরাস্তা ও বিজয় সরণির দিকে কোনো যানবাহন ছাড়তে পারছি না। কারণ ওই দিকে গাড়িগুলো ঠিকমতো টানা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, রমনা, মগবাজার এলাকায় যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ থাকায় আমাদের এখানে যানবাহনের জটলা তৈরি হচ্ছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত একই অবস্থা। তবে দুপুরে কিছুটা চাপ কম ছিল।
এদিকে বিকেল ৩টায় সরকারি অফিস ছুটি হওয়ার পর ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে ঘরেফেরা লোকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাঙ্ক্ষিত পরিবহন না পেয়ে বিকল্প হিসেবে অনেকে রিকশা এবং রাইড শেয়ারিংয়ে যাত্রা করেন। কেউ হেঁটে যাত্রা করেন।