৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,সকাল ৯:২৩

বিএনপি যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, তাহলে খালেদা জিয়াকে আবার জেলে পাঠিয়ে দেব

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২

  • শেয়ার করুন

করে তারা খুঁজে পেয়েছে খালেদা জিয়া ও তার দুই পুত্র তারেক রহমান ও কোকোর পাচারকৃত অর্থের। এফবিআই’র প্রতিনিধি এসে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং সেই মামলায় তারেক রহমানের ৭ বছরের সাজা হয়েছে। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাতেও তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত।

 

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা (বিএনপি) অগ্নিসন্ত্রাস করে সাড়ে তিন হাজার মানুষকে দগ্ধ করেছে, শত শত মানুষকে পেট্রোলবোমা মেরে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। যত কিছু ধ্বংসাত্মক কাজ করতেই তারা (বিএনপি) পারদর্শী। বিএনপি-জামায়াত জোটের সেই ভয়াল দুঃশাসন, অত্যাচার-নির্যাতন, হাওয়া ভবনের কথা কী দেশের জনগণ ভুলে যাবে? কেন দেশের জনগণ তাদের পাশে থাকবে?

 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মহামারির মধ্যে দেশের এখন মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ডলারের কাছাকাছি। গ্রামের একদম তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন নিয়ে গেছি। বিএনপির নীতি ছিল খাদ্য ঘাটতি দেখিয়ে বিদেশ থেকে ভিক্ষা নিয়ে চলা। আর আওয়ামী লীগের নীতি হচ্ছে ভিক্ষা নেব না, নিজেরা ফসল ফলিয়ে নিজেরা চলব, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলব।

 

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক উন্নত দেশও করোনার ভ্যাকসিন জনগণকে বিনামূল্যে দিতে পারেনি। আমরা তা দিয়েছি। বুস্টার ডোজ চলছে। শুধু ভ্যাকসিনই নয়, করোনার টেস্টও বিনামূল্যে করা হচ্ছে। একেকটা ভ্যাকসিন ও করোনা টেস্ট করতে হাজার হাজার টাকা খরচ হয়। সেটি আমরা বিনামূল্যে দিচ্ছি। কারণ আমাদের কাছে দেশের মানুষের জীবন রক্ষা হচ্ছে বড় ব্যাপার। এমন অবস্থায় যদি বিএনপি ক্ষমতায় থাকত তবে ভ্যাকসিনের অভাবে হাজার হাজার লাশ পড়ে থাকত। ভ্যাকসিনের টাকা হাওয়া ভবন লুটে খেয়ে নিত।

 

বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া জড়িত, খালেদা জিয়া জানতেন : প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার খুনিদের জিয়াউর রহমান বিদেশে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসিত করেন। একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তাদের বের করে দেয়। কিন্তু ২০০১ সালে যখন বিচারের রায়ের তারিখ পড়েছে খুনি বিচারের কাঠগড়ায়, সেই সময় খালেদা জিয়া খুনি খায়রুজ্জামানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাকরি এবং প্রমোশন দেয়। মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার করেও পাঠায়। খুনি পাশাকে বিদেশে মৃত অবস্থায় প্রমোশন দেয়। তার ভাতা ও সব ধরনের বেনিফিট পরিবারকে দেয়। তাহলে কি করে অস্বীকার করবে এই হতাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত নয়। ৩ নভেম্বর বা ১৫ আগস্টের হত্যার সঙ্গে জিয়া যে জড়িত নয় তা কিভাবে অস্বীকার করবে।

 

অন্যের ঘাড়ে অপরাধ চাপানোর ট্রিকসটা তারা ভালোভাবেই জানে : প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে খুনি রশিদকে ভোট চুরি করে খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে বাসানোর মাধ্যমে খুনিদের পৃষ্ঠাপোষকতা করেছেন। আর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া যে সম্পূর্ণভাবে জড়িত তাতে আর কোনো সন্দেহ নেই। কারণ সংসদে এ নিয়ে আওয়ামী লীগকে আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি। উলটো খালেদা জিয়া বললেন, শেখ হাসিনা ভ্যানিটি ব্যাগে গ্রেনেড নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। অর্থাৎ একে অপরাধ কর পরে সেই অপরাধটা অন্যের ঘাড়ে চাপানোর ট্রিকসটা তারা ভালোভাবেই জানে।

 

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে সব শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পারভীন জামান কবিতা, জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

  • শেয়ার করুন