৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,রাত ১২:১৬

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির পৈতৃক বাড়িতে আগুন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২

  • শেয়ার করুন

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা প্রয়াত আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির পৈতৃক বাড়িতে আগুন জ্বলতে থাকার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

 

অধিকারকর্মীরা বলছে, বিক্ষোভকারীরা খোমেনির বাড়িতে আগুন দিয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে পুলিশ হেফাজতে মাসাহ আমিনি (২২) নামে এক কুর্দি তরুণীর মৃত্যু ঘিরে ইরানে বিক্ষোভ চলছে। খবর রয়টার্স, বিবিসি ও তাসনিমের।

 

তবে ইরানের আধা-সরকারি তাসনিম বার্তা সংস্থা খোমেনির বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, বাড়ির বাইরে অল্প কিছু মানুষ সমবেত হয়েছিল।

 

কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে বাড়িটিতে আগুন জ্বলে উঠতে দেখা যাওয়ার পাশাপাশি বাড়ির সামনে বেশ কিছু সংখ্যক মানুষকে উল্লাস করতে দেখা গেছে।

 

ভিডিওগুলো কবে ধারণ করা সেটি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি গণমাধ্যম। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী তেহরানের দক্ষিণে খোমেনির জন্মশহর খোমেইনে ঘটেছে।

 

১৯৭৯ সালে ইরানে যে ইসলামিক বিপ্লব হয়েছিল, তার পুরোধা ছিলেন আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি, ইমাম খোমেনি নামে যিনি বেশি পরিচিত।

 

ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে ৪০ বছর ইরান শাসন করেন শিয়া ধর্মীয় গুরুরা। সেসময় খোমেনিই ছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। ১৯৮৯ সালে খোমেনি মারা যান।

 

খোমেনির জন্মস্থান মারকাজি প্রদেশের ওই খোমেইন শহরের নামেই তার নাম রাখা হয়েছিল খোমেনি। বাড়িটিকে পরে খোমেনি স্মৃতি জাদুঘরে পরিণত করা হয়। আগুনে বাড়িটির ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।

 

তাসনিম বার্তা সংস্থা বলেছে, অগ্নিসংযোগের খবরটি মিথ্যা। খোমেনির বাড়ির দরজা জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

 

পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গত সেপ্টেম্বর গ্রেফতারের পর ২২ বছর বয়সি কুর্দি তরুণী মাসাহ আমিনি পুলিশ হেফাজতে মারা যান।

 

এর পর থেকেই ইরান বিক্ষোভ উত্তাল হয়ে আছে। হিজাববিরোধী এই বিক্ষোভ পরে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।

  • শেয়ার করুন