৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,রাত ৮:৪২

১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির সমাবেশের ধারেকাছেও যাবে না: কাদের

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২২

  • শেয়ার করুন

আগামী ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির সমাবেশের ধারেকাছেও যাবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা ছাত্রলীগের সম্মেলনের সময়টা এগিয়ে নিয়ে এসেছি। এটি বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়, এটি শেখ হাসিনার উদার নৈতিকতার ফসল।

 

গতকাল সোমবার দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতার প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকার কথা, সেখানে নির্বাহী আদেশে শেখ হাসিনা তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছেন।

 

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে মারধর করবেন না, উসকানি দেবেন না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কিন্তু মাঠ ছেড়ে দেয়নি। বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে কোনো দুর্ভোগ সৃষ্টি না করতে দলটির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ মানুষ কষ্টে আছে। স্বল্পবিত্ত মানুষ, স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্টে আছে। তাই শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তিনি রাতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা ঘুমান। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী সারাক্ষণ কাজ করেন। বাংলাদেশে ’৭৫-এর পর এত ভালো মানুষ রাজনীতিতে আসেনি। ’৭৫-এর পর শেখ হাসিনার মতো সৎ মানুষ আর আসেনি। শেখ হাসিনা একমাত্র আল্লাহকে ভয় পান, এ ছাড়া কাউকে ভয় পান না। তাই শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার। উন্নয়নে দরকার শেখ হাসিনা সরকার।

 

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন ও শাজাহান খান, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ এম মাহমুদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক প্রমুখ।

 

সম্মেলনে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার আবারও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলতাফুজ্জামান মিতাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। পরে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

 

তিনি বলেন, খেলা হবে ভোটের মাঠে। লাঠি আর আগুন নিয়ে এলে প্রতিরোধ করা হবে। খেলা হবে অস্ত্রোপচারের বিরুদ্ধে, খেলা হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে, খেলা হবে দুনীতির বিরুদ্ধে।

 

সম্মেলনে আওয়ামী লীগের অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও সদস্য মারুফা আক্তার পপি।

 

পরে অনুষ্ঠানে আগামী তিন বছরের জন্য জেলা আওয়ামী লীগ মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহকে ফের সভাপতি, বিজন কুমার চন্দকে সাধারণ সম্পাদক নাম ঘোষণা করেন।

  • শেয়ার করুন