পল্লীর আভাস : ‘ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজানা মোসাদ্দিকা আত্মহত্যা করেননি। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সহপাঠীরা।
রোববার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি করেন সানজানার সহপাঠীরা। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘সানজানা হত্যার বিচার চাই’, ‘আত্মহত্যা নয়, হত্যা’ লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

সানজানার সহপাঠীরা বলেন, একজন মানুষ ১২তলা থেকে পড়ে গেলে তার শরীর থেঁতলে ও বিভিন্ন অংশ ভেঙে যাওয়ার কথা। আমরা তার মরদেহ দেখেছি। তার শরীরে তেমন কিছু হয়নি। সানজানার শরীরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার চিহ্ন ছিল। তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।

সানজানার আরেক সহপাঠী অর্ণব দেব বলেন, সানজানার বাবা শাহিন ইসলাম দুটি বিয়ে করেছেন। শাহিন ইসলাম দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে আলাদা থাকতেন। সানজানা দুই ভাই ও বোন নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে থাকতেন। তার বাবা মাঝে মধ্যে তাদের বাসায় এসে তার মাকে মারধর করতেন। সানজানা বিভিন্ন সময় এর প্রতিবাদ করায় তাকেও মারধর করা হতো।

অর্ণব দেব আরও বলেন, গত ঈদের আগে সানজানার বাবা মেরে তার হাতের আঙুল ভেঙে দেন। এ ঘটনায় থানায় জিডিও করেছিলেন তার মা। আর কোনো দিন তার গায়ে হাত তুলবেন না, এমন আশ্বাস দেওয়ার পর ওই জিডি তুলে নেওয়া হয়।

আরেক সহপাঠী বলেন, সানজানার বাবা বিভিন্ন সময় তাকে মারধর করতেন বলে আমাদের অনেকের সঙ্গেই শেয়ার করেছে। সানজানার মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে তার বাবা পলাতক। এতে বোঝা যায়, এ হত্যার পেছনে তার বাবা জড়িত।

শনিবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে সানজানা মোসাদ্দিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ‘সুইসাইডাল নোট’ পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।