২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ এবং প্রতিটি নাগরিক হবে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এত কাজ করার পরও কিছু লোকের মন ভরে না। দৃষ্টি থাকতেও তারা অন্ধ, তারা দেখবেই না।’

গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) এক অনুষ্ঠানে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

দেশ বিশ্ব পরিমণ্ডলে পিছিয়ে থাকবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা এবং লার্নিং যেমন ই-শিক্ষা, ই-স্বাস্থ্য, ই-ব্যবসা, ই-ইকোনমি, ই-গভর্ন্যান্স হবে প্রযুক্তিগত জ্ঞানভিত্তিক। প্রতিটি ছেলেমেয়ে কম্পিউটার টেকনোলজি এখন থেকে শিখছে এবং আরও এগিয়ে যাবে। আমাদের পুরো জনগোষ্ঠীই হবে প্রযুক্তি জ্ঞানে স্মার্ট। বিশ্ব থেকে কোনো কিছুতেই পিছিয়ে থাকবে না। নিশ্চয়ই আমরা পারব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এরপর হবে স্যাটেলাইট-২। সেটাও আমরা করব। সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে দ্বীপাঞ্চল থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই আমরা ব্রডব্যান্ড অনলাইনে কাজ করার প্রযুক্তি নিয়ে যাব। একবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন হবে।

পাঠ মুখস্থ করার পাশাপাশি মেধা বিকাশের জন্য শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত চিন্তার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কে কী বিষয়ে নতুন কিছু করতে পারে, সেটা আমরা দেখতে চাই। সবার জন্য

নতুন নতুন জ্ঞান ও গবেষণার পথ উন্মুক্ত করতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে বহুমুখী শিক্ষা পায়, সে ব্যবস্থা করেছি।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের বর্ণনা দিয়ে ঢালাও সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের মাথার ভেতরে ‘না’ শব্দটা ঢুকে গেছে। আমরা ‘নাই-তে থাকতে চাই না। আমরা পারি, বাংলাদেশের মানুষ পারে। আমরা সেটাই প্রমাণ করতে চাই। ‘নাই’ ‘নাই’ শুনব না। আমরা করতে পারব, এটা করতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণকে যদি দারিদ্র্যমুক্ত করতে হয় তাহলে শিক্ষা হচ্ছে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। কাজেই সমগ্র জাতিকে আমরা শিক্ষিত করে গড়ে তুলব সেই পদক্ষেপ নেই। আমরা নতুন শিক্ষা কমিশন গঠন করি। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। কারণ আমাদের ৫ বছরের সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছিল। ২০০১-এ বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর তারা দেশকে আবার অন্ধকারের দিকেই ঠেলে দেয়। এটা হলো বাস্তবতা।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮-এর নির্বাচনে নৌকা মার্কায় মানুষ ভোট দেয়, আমরা আবার সরকার গঠন করি। তখন থেকে আমাদের আবার লক্ষ্য হয়, কীভাবে আমরা এ দেশের মানুষকে নিরক্ষরতামুক্ত করব এবং ২০১০ সাল থেকে আমরা বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু করি।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, উভয় মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।