প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হলেই অগ্নিসন্ত্রাসের পথে হাঁটে, অতীতে তার প্রমাণ রয়েছে। সেই আশঙ্কা এখনো আছে। কারণ জনসম্পৃক্ততার অভাবে বিএনপির সরকার পতনের টার্গেট ব্যর্থ হয়েছে। পথ হারিয়ে বিএনপির আন্দোলন এখন নীরব পদযাত্রায় নেমে এসেছে। তাদের আন্দোলনে জনগণ নেই। গতকাল রোববার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আন্দোলনের নামে বিএনপি তলে তলে দুরভিসন্ধি করছে কিনা, তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন তো অনেক হলো—লংমার্চ, শর্ট মার্চ। ৫৬ হাজার বর্গমাইল, খুব বেশি তো না, কোথায় আর যাবেন। দেশের বাইরেও তো গেলেন লবিং করতে, লাভ তো হলো না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতীয় নির্বাচনে হেরে যাওয়ার অপমানে তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়, যাতে একটি অনির্বাচিত সরকার, আরেকটি ওয়ান ইলেভেন হয়। শেখ হাসিনা বাদে যে কেউ আসুক বিএনপির তাতে আপত্তি নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে। আমরা নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকব, সরে যাব না।
পৃথিবীর সব দেশেই উপনির্বাচনে মানুষের আগ্রহ কম থাকে, কেননা এটা দিয়ে খুব বেশি লাভ-ক্ষতি কেউ খুঁজে পায় না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রধান দলগুলো অংশ গ্রহণ করলে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না। আমরা খবর পাচ্ছি বিএনপি তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জাপানে বিএনপির পাঠানো চিঠিতে নিজেদের বড় দল দাবি করার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কে বড় কে ছোট দল তা নির্বাচন ছাড়া প্রমাণ করার উপায় নেই। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তা প্রমাণ করুক।
আওয়ামী লীগ সময়মতো রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে যেতে ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো আগ্রহ নেই। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত কেউ আমাকে প্রস্তাবও দেয়নি। মন্ত্রী হিসেবে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। দায়িত্ব অসম্পূর্ণ রেখে এত বড় পদে যাওয়ার কোনো আগ্রহ আমার নেই। রাষ্ট্রপতি পদের জন্য যে যোগ্যতা প্রয়োজন, তা আমার আছে বলে মনে হয় না। আমি নিজে কাজের মানুষ। দৌড়াদৌড়ি, ছোটাছুটি করি।