১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,রাত ৪:৩৪

একুশে পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানের হাতে ‘একুশে পদক ২০২৩’ তুলে দিয়েছেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেলা ১১টার পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এ বেসামরিক পুরস্কার তুলে দেন তিনি।

১৯৫২ সালে মাতৃভাষার জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে জাতি ২১ ফেব্রুয়ারি ‘অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করে থাকে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুরস্কারপ্রাপ্তদের দেওয়া অর্থের পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালে তা বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করা হয়েছে।

নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় ১২ ফেব্রুয়ারি সরকার ‘একুশে পদক-২০২৩’-এর জন্য ১৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও দুটি সংস্থার নাম ঘোষণা করে। এ বছর ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধে একজন, শিল্পকলায় আটজন (অভিনয়, সংগীত, আবৃত্তি, চারু ও চিত্রকলা), রাজনীতিতে দুজন, শিক্ষায় একজন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান, সমাজসেবায় একজন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান এবং সাংবাদিকতা, গবেষণা এবং ভাষা ও সাহিত্যে একজন করে পুরস্কার পেয়েছেন।

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানের হাতে একুশে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের জন্য খালেদা মঞ্জুর-ই খুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শামসুল হক (মরণোত্তর) ও হাজী মোহাম্মদ মজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়। শিল্পকলা বিভাগের অভিনয় ক্যাটাগরিতে মাসুদ আলী খান ও শিমূল ইউসুফ এবং সংগীত বিভাগে মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আবদুল হাকিম ও ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর), আবৃত্তি বিভাগে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, শিল্পকলায় নওয়াজীশ আলী খান এবং চিত্রকলা বিভাগে কনক চাঁপা চাকমা পুরস্কার পেয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন মমতাজ উদ্দিন (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), গবেষণায় ডা. মো. আব্দুল মজিদ, শিক্ষায় অধ্যাপক ডা. মাজহারুল ইসলাম (মরণোত্তর), সমাজসেবায় সাইদুল হক, অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম (মরণোত্তর), রাজনীতিতে আখতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এবং ভাষা ও সাহিত্যে ড. মনিরুজ্জামান পুরস্কার পেয়েছেন। শিক্ষা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এ পুরস্কার পেয়েছে।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ‘একুশে পদক’ প্রবর্তন করা হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বর্ণপদক, সম্মাননা সনদ ও নগদ অর্থ দিয়ে পুরস্কার প্রদান করে। ২০২২ সালে ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে মর্যাদাপূর্ণ একুশে পদক দেওয়া হয়।

  • শেয়ার করুন