৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,সকাল ১১:২১

টেনিসকে বিদায় জানাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

তিনি হয়ে উঠেছেন ভারতের আগামী প্রজন্মের মেয়েদের টেনিসের রোল মডেল। এটাই টেনিসে সানিয়া মির্জার জীবনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক। তিনি শুধু ভারতীয় ক্রিকেটের গর্ব নন, তাকে দেখেই টেনিসকে জীবনের লক্ষ্য বেছে নিয়েছেন উপমহাদেশের অনেক মেয়েই।

টেনিস থেকে অবসরে যাবেন—এমন সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে রেখেছিলেন সানিয়া মির্জা। বলেছিলেন, দুবাইয়ে খেলবেন শেষবারের মতো। কিন্তু শেষটা রাঙানো হলো না ভারতের এই টেনিস সেনসেশনের। নারীদের ডাবলসে প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছেন তিনি। এই হারের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হলো টেনিসের সঙ্গে সানিয়ার দুই দশকের পথচলা। দুবাই ডিউটি ফ্রি টেনিস প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডে মঙ্গলবার সানিয়া-ম্যাডিসন জুটি হেরে যায় ভার্নোকিয়া কুদেরমেতোভা-লিউডমিলা সামসোনোভার কাছে (৪-৬, ০-৬)। শেষ হয় টেনিসের সঙ্গে সানিয়ার বর্ণিল ক্যারিয়ারও। গ্র্যান্ডস্লাম ওপেনে সানিয়া মির্জা এককভাবে শিরোপা জিততে পারেননি। সর্বোচ্চ সাফল্য ইউএস ওপেনে চতুর্থ রাউন্ড। তবে ডাবলস ও মিক্সড ডাবলসে তার গ্র্যান্ডস্লামের সংখ্যা ছয়টি। ডব্লিউটিএ র‌্যাঙ্কিয়ে ডাবলসে সানিয়া ৯১ সপ্তাহ শীর্ষে থেকেছেন। নারীদের টেনিসের সিঙ্গলসেও সানিয়ার কৃতিত্ব উল্লেখ করার মতো। সিঙ্গলসে তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা র‌্যাঙ্কিং ২৭। নিজের সেরা সময়ের কথা বলতে গিয়ে সানিয়া বলেন, ‘সম্ভবত সবচেয়ে অজেয় ছিলাম ২০১৪-এর মাঝামাঝি থেকে ২০১৬-এর মাঝামাঝি পর্যন্ত। আমার খেলার জীবনের সেই দুই বছর ছিল অবিশ্বাস্য… সে সময় কোর্টে নামলে মনে হতো আমাকে কেউ হারাতে পারবে না। মার্টিনা (হিঙ্গিস) এবং আমি সেই সময়ে কোর্টে পা রাখলে এমন অনুভূতি হতো।’ ২০০৩ সালে পেশাদার টেনিসে পা রাখার পর থেকেই সানিয়া শুধু ভারতের নয়, হয়ে উঠেছিলেন এশিয়ার নারী টেনিসের মুখ। একসময় সেরেনা উইলিয়ামস, মারিয়া শারাপোভাদের সঙ্গেই উচ্চারিত হতো সানিয়ার নাম। কিন্তু বারবার চোট-আঘাত তাকে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। বিদায় বেলায় ট্রফি জয়ের আশা পূরণ না হলেও সানিয়া ভারতীয় টেনিসের সম্রাজ্ঞী হিসেবেই পরিচিতি পাবেন, তা অনুমেয়।

  • শেয়ার করুন