৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,সকাল ৮:৩৯

ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিহতদের প্রতি পুতিনের শ্রদ্ধা

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত পাইলটদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ ছাড়া যারা এ বিদ্রোহের বিরোধিতা করেছিলেন, তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। স্বল্পস্থায়ী এ সশস্ত্র বিদ্রোহ নিয়ে রাশিয়ার স্থানীয় সময় সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা জানান তিনি। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ ভাষণ সম্প্রচার করা হয়।

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব খবর জানানো হয়েছে। পুতিন বলেন, ‘বীর পাইলটদের সাহস ও আত্মত্যাগ রাশিয়াকে বিধ্বংসী পরিণতি থেকে রক্ষা করেছে। আমি সব সৈন্য এবং গোয়েন্দা কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই, যারা বিদ্রোহীদের পথরোধ করেছিলেন।’ তবে কতজন পাইলট মারা গেছেন এবং কতটি বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে, সে ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এ ছাড়া বিদ্রোহ মোকাবিলায় ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সঙ্গে মধ্যস্থতা করায় বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোকেও ধন্যবাদ জানান পুতিন।

সেইসঙ্গে রক্তপাত এড়ানোর জন্য ওয়াগনারের যোদ্ধা ও কমান্ডারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, ওয়াগনার যোদ্ধারা যদি চান, তাহলে তাদের বেলারুশে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হবে।

গত শুক্রবার রাশিয়ার সামরিক নেতাদের উৎখাত করার হুমকি দেন ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। এরপর রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের একটি সেনা সদরদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানায় ওয়াগনার।

পরে রক্তপাত এড়াতে স্থানীয় সময় শনিবার যোদ্ধাদের মস্কোর দিকে অগ্রসর হওয়া স্থগিত করে ওয়াগনার গ্রুপ। এক অডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। তিনি জানান, যোদ্ধারা সেনাশিবিরে ফিরে আসছেন।

এর কিছুক্ষণ আগে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো জানিয়েছিলেন, ওয়াগনার বাহিনীর মস্কো অভিমুখী পদযাত্রা স্থগিত করতে তিনি প্রিগোজিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আলোচনায় প্রিগোজিন তার প্রস্তাব গ্রহণে সম্মত হন বলেও জানায় লুকাশেঙ্কোর কার্যালয়।

শনিবার রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রোস্তভ-অন-দন দখলের পর রাজধানী মস্কোর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল ওয়াগনার বাহিনী। মস্কো অভিমুখী পথের অর্ধেকের বেশি অতিক্রমও করে তারা। রুশ সেনারা তাদের গতিরোধ করতে চাইলেও তেমন সুবিধা করতে পারেনি। এরই মধ্যে মস্কোমুখী যাত্রা স্থগিতের কথা জানান প্রিগোজিন।

ওয়াগনারের এ বিদ্রোহকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ সংকট বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সাড়ে ২৪ বছরের ক্ষমতায় পুতিন এ ধরনের সংকটের মুখোমুখি হননি।

  • শেয়ার করুন