প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে বিএনপি। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় করে তবেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যেতে চায় তারা। তাই দাবি আদায়ে দল এখন যুগপৎ আন্দোলনে থাকলেও ভেতরে ভেতরে নির্বাচনী প্রস্তুতিও নিচ্ছে হাইকমান্ড। এরই মধ্যে প্রায় ২০০ আসনের প্রার্থী তালিকার খসড়াও তৈরি করা হয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সংগঠন গোছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কারাগারে থাকা ও মামলা-হামলার শিকার নেতাকর্মীদের পাশেও দাঁড়াতে বলা হয়েছে। এমন কার্যক্রমকে নির্বাচনী প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছেন তৃণমূলের নেতারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা এখন আন্দোলনে রয়েছি। এর মধ্য দিয়ে সংগঠন চলছে। যখন দাবি আদায় হবে, তখন নির্বাচনের কথা ভাবব।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, বিএনপি নির্বাচমুখী দল। আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি সবসময়ই আছে। শুধু বিএনপি নয়, যে কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি সবসময়ই থাকে।
এদিকে, নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামীতে ক্ষমতায় গেলে কী কী করতে চায়, সেটাও স্পষ্ট করেছে বিএনপি। রাষ্ট্রের সার্বিক সংস্কারে গত ১৯ ডিসেম্বর ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে দলটি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনেরও ঘোষণা দিয়েছে তারা। রূপরেখার পক্ষে জনমত তৈরি ও বিষয়গুলো দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে গত বছরের শেষদিকে বিভাগীয় পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিশিষ্টজনকে নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছে দলটির মিডিয়া সেল।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে—এটা আওয়ামী লীগও জানে।
দলটির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু জানান, নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। এরই মধ্যে ২০০ আসনের প্রার্থী মোটামুটি ঠিক করা আছে। কিছু আসন তো পূর্বনির্ধারিত থাকে। সব মিলিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না বিএনপি।
বিএনপির এক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আমরা বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূলে কর্মসূচি করছি। নয়টি বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করেছি।
জেলা-উপজেলা-থানা এমনকি ইউনিয়নে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছি, মহানগরগুলোতেও সমাবেশ করেছি। এখন ইউনিয়ন পর্যায় থেকে পদযাত্রার কর্মসূচি করতে যাচ্ছি। আমরা যত সাংগঠনিক কার্যক্রম করছি, সবই তো নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ। তবে সেই নির্বাচন অবশ্যই নির্দলীয় সরকারের অধীনে হতে হবে।