প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৩
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তার পরিবারের করা আবেদন স্বরাষ্ট্র থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এখনো এ বিষয়ে কেনো মতামত দেননি। কারণ ফাইলটি এখনো তার কাছে উপস্থাপন করা হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ছয় দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, প্রস্তাবিত উপাত্ত সুরক্ষা আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় মতামত দেওয়ার পর আবেদনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খালেদা জিয়ার ভাই একটা আবেদন করেছেন তার শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানোর জন্য। সেই ফাইলটা আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এসেছে। আমার কাছে এখনো আসেনি।
আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর ফাইলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এছাড়া মুক্তির মেয়াদও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে- এমন খবর প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এই ব্যাপারে যে তথ্য এখন টেলিভিশনের স্ক্রলে দেওয়া হচ্ছে তা অসত্য।
খালেদা জিয়া শর্তসাপেক্ষে বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে এখনো আবেদন আসেনি। ফাইলের মধ্যে কি আছে আমি সেটা বলতে পারব না। আবেদন এলে আমি সেটা নিষ্পত্তি করব।
আনিসুল হক বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো অভিমত দেওয়া ছাড়া আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে ফাইলটা পাঠানো হয়েছে। যখন আমার কাছে আসবে, যখন আমি এটা নিষ্পত্তি করতে পারব তখন আমি অবশ্যই আপনাদের জানাব।
খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামিন দেওয়ার এখতিয়ার কিন্তু আদালতের, সরকারের না। আমি যেটা মনে করি, যে শর্ত আছে সেই শর্তই থাকবে। এটাই আমার বিশ্বাস।