৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,সকাল ৮:৫৬

নেশাজাতীয় তরল বিষাক্ত পদার্থ পানের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

নেশাজাতীয় তরল বিষাক্ত পদার্থ পানের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে লিটন মিয়া (৪৮) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হলো।

এর আগে বিষাক্ত তরল পানের ঘটনায় কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ (৫৭) ও জহির রায়হান জর্জ (৫৯), হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক গোবিন্দ বিশ্বাস (৪৫) ও শাহজাহান মিয়া (৫২) নামের গাড়িচালক মারা যান।

সোমবার বাজিতপুরের জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিটন মিয়া নামে ওই চা দোকানির মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন জানান, তিন সদস্যদের একটি মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা ময়নাতদন্তের কাজে অংশ নেন। ময়নাতদন্তের সময় তাদের পাকস্থলীতে ‘অ্যালকোহল’-এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত মদ্যপান বা অ্যালকোহল জাতীয় তরল পদার্থ খেয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। ভিসারা রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে কুলিয়ারচর পৌরসভার বড়খাঁর চর এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কুলিয়ারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১২-১৩ ব্যক্তি পার্শ্ববর্তী তাতার কান্তি নামক এলাকায় নিমন্ত্রণ খাওয়ার কথা বলে নিজ নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সেখান থেকে বাড়িতে আসার পর থেকে তারা একে একে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন। তাদের জরুরিভিত্তিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদের মধ্যে ঘটনার রাতে শাহজাহান মিয়া এবং সোমবার রাতের মধ্যে অন্যদের মৃত্যু হয়। এছাড়া গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন কুলিয়ারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব।

অপরদিকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও অন্তত ৭ ব্যক্তি।

এ ব্যাপারে কথা হলে কুলিয়ারচর থানার ওসি মো. গোলাম মোস্তাফা জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তিদের কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে ময়নাতদন্তের কাজ শেষ করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ নিয়ে মামলা রুজু করতে আসেননি।

  • শেয়ার করুন