প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৩
সরকারকে হেয় করতে প্রথম আলো ও বিএনপি একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘প্রথম আলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। এতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রথম আলো আর বিএনপি একজন আরেকজনের পরিপূরক।’
গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মিরপুরে বিএনপির ইফতারে এনটিভির সাংবাদিককে মারধর ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরা ভাঙচুরের নিন্দা জানিয়ে কাদের বলেন, ইফতারে পেটানোর ঘটনায় মির্জা ফখরুল প্রথমে ক্ষমা প্রার্থনা করে পরে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপিয়েছেন। প্রথম আলোতে এসব সংবাদ আসেনি। ষড়যন্ত্রের সহযোগী প্রথম আলো। বিএনপিকে সাধু বানানোর দায়িত্বটা নিয়েছে প্রথম আলো।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রথম আলো বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ উদ্ধারে কাজ করছে। সরকার দেশবাসীর কাছে জনপ্রিয়। মানুষ ভালোবেসে টানা তিন মেয়াদে এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে; কিন্তু প্রথম আলো জনপ্রিয় সরকারকে হেয় করার জন্য বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে ছোট করার চেষ্টা করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশেই আমরা দেখেছি—স্বাধীনতা দিবসের দিন সে দেশের গণমাধ্যম অনুপ্রেরণামূলক বাণী দিয়ে উৎসাহ করে। আর প্রথম আলো তাদের প্রভুদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য জাতির সামনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে, তরুণ প্রজন্মকে হতাশা ও উসকানি দেওয়ার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডারের বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠান বলছে, সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর জন্যই সরকার এ ধরনের মামলা করেছে প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে। আমি প্রথমে বলতে চাই সরকার কিন্তু এখানে মামলা করেনি। মামলা সাধারণ একজন নাগরিকও করতে পারে। সরকার মামলা করেছে এটা সর্বাগ্রে মিথ্যা। আর ভয় দেখানোর কথা যে বলা হচ্ছে, কাকে ভয় দেখাব? যাকে ভয় দেখানোর কথা বলা হয়েছে, তিনিই এ দেশের মানুষকে ভয়ের মধ্যে রাখতে চেয়েছিলেন। তিনি এদেশের রাষ্ট্রকে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ভয় দেখিয়েছিলেন। তিনি এদেশে রাজনীতিকে ভয় দেখিয়েছিলেন। তিনি এদেশের সংবিধানিক সরকারকে ভয় দেখিয়েছিলেন অসংবিধানিক সরকারের পক্ষে ওকালতি করে। তার পরও কি ওয়ান-ইলেভেন আমাদের মনে নেই? কে কাকে ভয় দেখায়।
তিনি বলেন, প্রথম আলো আর বিএনপি সাপ্লিমেন্ট করে একে অপরকে। টার্গেট শেখ হাসিনা, টার্গেট সরকার, টার্গেট জনগণ। টার্গেট আগামী নির্বাচন ভণ্ডুল করা।
যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।