প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আসলে মানুষের জন্য রাজনীতি করে না; জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
তিনি বলেন, রাজধানীর বঙ্গবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সরকারি সংস্থাগুলোর সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মালামাল রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা করেন। অথচ এ রকম ভয়াবহ একটি দুর্ঘটনায় সেখানে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতায় সাহায্য করা বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মালামাল রক্ষায় এগিয়ে আসা; এ ধরনের কোনো উদ্যোগ বিএনপি নেয়নি। তারা মানুষের জন্য রাজনীতি করে না; জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিবৃতি দেন কাদের।
বঙ্গবাজারে আগুনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। অগ্নিকাণ্ড ঘটার পর থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ, তদারকি ও নির্দেশনা দিয়েছেন। তারই নির্দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব না করে শুধু ঘরে বসে থেকে বিবৃতি দেয়। ফলে এ রকম ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়েও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য তাদের চিরাচরিত অপরাজনীতির বহিঃপ্রকাশ।
‘বিএনপি তামাশার নির্বাচনে বিশ্বাস করে না’ মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির প্রতিভূ বিএনপি এদেশে বারবার তামাশার নির্বাচন আয়োজন করেছে। সামরিক শাসন জারি রেখে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ/না ভোট, সেনাপ্রধানের দায়িত্বে থেকে ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিল। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করেছিল।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, অনুরূপভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য ২০০৭ সালে বিএনপি যে নির্বাচনের আয়োজন করে গণআন্দোলনের মুখে তা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এ দেশে সরকার পরিবর্তন হবে। বাংলাদেশে জনগণের ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতার পরিবর্তন হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপির আমলে লুটপাটের মাধ্যমে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতিই ছিল তাদের রাজনীতির একমাত্র নীতি। দেশের জনগণ বিএনপির সেই অপশাসনের দুঃসময়ে ফিরে যেতে চায় না। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, দেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার গঠিত হবে।