বগুড়ায় বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালনের সময় ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শহরের সাতমাথা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে কয়েক দফায় সাতমাথা এলাকায় উভয়পক্ষ মিছিল-পাল্টা মিছিল করে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ নভেম্বর বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর থেকেই বিরোধের শুরু। কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিতরা আন্দোলন শুরু করেন। দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে পদবঞ্চিতরা আন্দোলন শুরু করায় নবগঠিত কমিটি কার্যালয়ে ঢুকতে পারেনি। সর্বশেষ গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে পুলিশ প্রহরায় দলীয় কার্যালয়ে যায় নতুন কমিটি। আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের এক পাশে হটিয়ে দিয়ে ওইদিন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচিতে নতুন কমিটিকে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেয় পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সব সহযোগী সংগঠনের নেতারা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হন। সকাল ৮টার দিকে পতাকা উত্তোলনের পর পরই সেখানে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে নতুন কমিটির ধাক্কাধাক্কি থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় পদবঞ্চিতরা নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের অনুসারীদের ধাওয়া দেন।

পরে কার্যালয়ের সামনে থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি মিছিল সাতমাথা চত্বরে গেলে নতুন কমিটির নেতারা ওই মিছিলে যোগ দেন।

পরে তাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যান। এরপর পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে সাতমাথা এলাকা ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যান। এভাবে মিছিল-পাল্টা মিছিলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শেষে দলীয় কার্যালয়ে শুধু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কেউ তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

বগুড়া সদর থানার ওসি নূরে আলম জানান, বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালনকালে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হলেও পরে তা নিরসন হয়েছে। সেখানে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি।