৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,দুপুর ১:২৬

মিরসরাইয়ে পানির অভাবে আমন চাষ ব্যাহত

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২২

  • শেয়ার করুন

পল্লীর আভাস :

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় এবার ২০ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে এখনো অর্ধেকের বেশি জমিতে আমনের চারা রোপণ সম্ভব হয়নি। সাধারণত আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে ধান লাগানো শেষ হলেও চলতি মৌসুমে পানির অভাবে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) পর্যন্ত চাষ হয়েছে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে আমন ধান রোপণের মৌসুম চলছে। আমন ধান সাধারণত বৃষ্টির পানিতে রোপণ করা হলেও বর্তমানে বৃষ্টি না থাকায় অনেক কৃষক সেচ দিয়ে ধান লাগাচ্ছেন। কিন্তু ডিজেলের দাম বাড়াতে বেকায়দায় পড়েছেন তারা। পাশাপাশি ইউরিয়ার মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাড়ছে আবাদের খরচ। এছাড়া অনেক জায়গায় লাগানো ধানও পানির অভাবে মরে যাচ্ছে।।

একাধিক কৃষক জানিয়েছেন, এক হেক্টর জমিতে একবার পানি সেচ দিতে ১০ লিটার ডিজেল প্রয়োজন। ডিজেলের দাম বাড়ানোর ফলে আগের চেয়ে একবার সেচ দিতেই ৩৪০ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। এছাড়া ভাড়া পাম্প দিয়ে আগে প্রতিঘণ্টা জমিতে পানি সেচ দিলে ১৫০ টাকা নেওয়া হতো। বর্তমানে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০০ টাকা। এতে কৃষিতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

এদিকে কৃষি বিভাগ জানাচ্ছে, সার ও ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে উপজেলায় এবার আমন রোপণে গতবারের তুলনায় কৃষকের প্রায় ১২ কোটি টাকা বেশি খরচ হবে।

ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার কৃষক বিকাশ ভৌমিক বলেন, যে পরিমাণে ডিজেল এবং সারের দাম বাড়ানো হয়েছে সামনে হয়তো চাষাবাদ করা বন্ধ করে দিতে হবে।

দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা এলাকার এনামুল হক নামে আরেক কৃষক জানান, এখন বৃষ্টি হওয়ার কথা কিন্তু বৃষ্টি নেই। তাই আমনের চারা লাগানো হচ্ছে সেচ দিয়ে। এদিকে, ডিজেলের দাম বেড়ে গেছে তাই আগের চেয়ে অনেক টাকা বেশি দিয়ে সেচ দিতে হচ্ছে। যদি ধানের সঠিক দাম না পাই তাহলে অনেক টাকা লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

ইছাখালী ইউনিয়নের পশ্চিম ইছাখালী গ্রামের কৃষক বদিউল আলম বদি বলেন, গতবছর দেড় একর জমিতে আমনের চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। এবছর পানির অভাবে পুকুরের পানি দিয়ে বাড়ির পাশের কিছু জমিতে আমনের চারা লাগিয়েছি। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি না হলে চারা লাগানো যাবে না। নষ্ট হয়ে যাবে বীজতলাও।

 

  • শেয়ার করুন