গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবারও দর পতন ঘটেছে দেশের শেয়ার বাজারে। যদিও দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কারণে আগের সপ্তাহে সবেমাত্র চাঙ্গা হতে শুরু করেছিল এই বাজার। কিন্তু গত সপ্তাহে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের দাম বাড়ানোর পর থেকে বাজারে দরপতন শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ৬ হাজার ১৪৯ পয়েন্টে। শুধু তাই নয়, লেনদেন কমে নেমে এসেছে ৬০০ কোটি টাকার নিচে। যদিও শেয়ার বাজারের টানা পতন ঠেকাতে গত ৩১ জুলাই শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেয় বিএসইসি। ফলে বেঁধে দেওয়া ওই দামের নিচে নামতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ারের দাম। ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর থেকে সূচক কিছুটা গতি ফিরে পায়। কিন্তু গত সপ্তাহে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের দাম বাড়ানোর পর থেকে দরপতন শুরু হয় বাজারে। সপ্তাহের চার কার্যদিবসের মধ্যে চার দিনই বাজারে সূচক কমেছে। এতে এক সপ্তাহেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি কমে গেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে দেশের শেয়ার বাজারে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়। এর প্রতি কার্যদিবসই দরপতনের মধ্যে ছিল বাজার। অবশ্য আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এতে ডিএসইর বাজার মূলদন ২১ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা বেড়ে যায়। এমন বড় উত্থানের পরেই শেয়ার বাজার শুরু হয় দরপতন দিয়ে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ দরপতনের পেছনে মুখ্য ভূমিকা রাখে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। গত ৫ আগস্ট প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ৩৪ বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, অকটেনে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।
অপরদিকে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ৭০ দশমিক ৮১ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছিল ১১৯ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট। কমেছে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও। গত সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছে ২৯ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছিল ৬৬ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট।
গেলো সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৩২ কোটি ৮৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ২৯ শতাংশ।