৯ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,সকাল ১০:১১

৩৪ মাস বেতন-ভাতা বন্ধ, লাগাতর আন্দোলনে পলিটেকনিক শিক্ষকরা

প্রকাশিত: মে ১, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

৩৪ মাস ধরে বেতন বন্ধ থাকায় লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা। গতকাল রোববার সকাল ১০টা থেকে আগারগাঁওয়ের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

জানা গেছে, ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৭৭৭ শিক্ষক ২০২০ সালের জুলাই থেকে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। সে কারণে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। গতকাল শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচির প্রথম দিনে অন্তত তিন শতাধিক শিক্ষক অংশ নিয়েছেন।

শিক্ষকরা জানান, কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নে ও সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-সংকট নিরসনের জন্য ২০১০ সালের জুলাই মাসে সরকার স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট (স্টেপ) শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। দুই ধাপে প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চলমান ছিল। তারপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এক পত্রের মাধ্যমে প্রকল্পের জনবল দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর পরিপত্র জারি হয়। স্টেপ প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ পেয়েছিলেন ৭৭৭ শিক্ষক।

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, প্রকল্প শেষে চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২২ মে সদয় অনুমতি প্রদান করেন এবং সরকারের থোক বরাদ্দ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেতন-ভাতাও দেওয়া হয়, যা ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত চলমান ছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। আমাদের ফাইলটি এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।

তারা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করে বেতন-ভাতা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন এবং দীর্ঘদিনের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের অবসানের জন্য বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান ও চাকরি দ্রুত রাজস্ব খাতে আত্তীকরণের দাবি জানান।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কারিগরি শাখার সভাপতি মো. সুমন হায়দার বলেন, আমাদের সরকারি চাকরির বয়স এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন, যারা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের অনেকে বেতন না হওয়ায় বাবা-মায়ের চিকিৎসা করাতে পারছে না, সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে পারছে না।

তিনি বলেন, সব নিয়ম মেনে পরীক্ষার মাধ্যমে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজস্ব খাতের প্রক্রিয়া, প্রধানমন্ত্রীর অনুমতির অপেক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ের কথা বলে গত ৩৪ মাস পর্যন্ত আমাদের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। যতদিন পর্যন্ত দাবি আদায় না হয়, ততদিন আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

  • শেয়ার করুন